অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম

বিবাহ বা বিয়ে কী? বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা আইনি চুক্তি যার মাধ্যমে দুই জনের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও বিয়ের সংজ্ঞা বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃতিতে পরিবর্তিত হয়, সাধারণভাবে বিয়ে হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিছু সংস্কৃতিতে, যে কোনও ধরণের যৌন ক্রিয়াকলাপে জড়িত হওয়ার আগে বিবাহ করার পরামর্শ দেওয়া বা বাধ্যতামূলক বলে মনে করা হয়। বিবাহ সাধারণত একটি রাষ্ট্র, একটি সংগঠন, একটি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ, একটি আদিবাসী গোষ্ঠী, একটি স্থানীয় সম্প্রদায় বা ব্যক্তিদের একটি গ্রুপ দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে। এটি একটি চুক্তি হিসাবে দেখা হয়। বিবাহ সাধারণত একটি আনুষ্ঠানিক ধর্মীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হয়। বৈবাহিক ক্রিয়াকলাপ সাধারণত দম্পতিদের মধ্যে সামাজিকভাবে স্বীকৃত বা আইনি দায়িত্ববোধ তৈরি করে এবং তারা বৈধভাবে স্বেচ্ছায় সন্তান জন্ম দিতে পারে।

অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই

বিয়ের মাধ্যমে সকল ধর্মের নর-নারী হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ প্রক্রিয়াকে বাংলায় ‘বিবাহ’ বা ‘বিয়ে’ বলা হয়। উর্দু ও ফারসি ভাষায় একে বলা হয় ‘শাদি’, আরবিতে বলা হয় ‘নিকাহ’।

মুসলিম বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ফি ও খরচঃ বাংলাদেশ সরকারি আইনের ১০ ধারা অনুযায়ি নিকাহ রেজিস্টার বা বিবাহ রেজিস্ট্রিকরণের জন্য ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে এক হাজার বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০% হারে ফি আদায় করতে হবে। দেনমোহর যদি ৪ লাখ টাকার অধিক হয় তাহলে প্রতি লাখে ১০০ টাকা হারে আদায় করতে হবে।

বিদ্রঃ দেনমোহরের পরিমান যাই হোক না কেন সর্বনিম্ন ফি ২০০ টাকার কম হবে না। সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ফি পরিবর্তন ও ধার্য করে থাকে।

রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিলে আপনাকে একটি প্রাপ্তি রশিদ দেবেন। মুসলিম বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের পর নিকাহ রেজিস্ট্রার বাধ্যতামূলকভাবে বর ও কনে পক্ষকে বিয়ের কাবিননামার এক কপি সত্যায়িত কপি দেবেন। মুসলিম বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করুন এর লিংকে ক্লিক করে।

হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনঃ
 অন্য কোন আইন, প্রথা ও রীতি-নীতিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হিন্দু বিবাহের দালিলিক প্রমাণ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে হিন্দু বিবাহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন করা যাইবে। যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন হিন্দু বিবাহ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত না হইলেও উহার কারণে কোন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সম্পন্ন বিবাহের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না।

হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

  • ‘‘হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক’’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক।
  • ‘‘হিন্দু বিবাহ’’ অর্থ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সম্পন্ন ও হিন্দু শাস্ত্র মোতাবেক প্রচলিত প্রথা ও রীতি অনুযায়ী অনুমোদিত বিবাহ।
  • ‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত।
  • ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি।
  • ‘‘জেলা রেজিস্ট্রার’’ অর্থ এর অধীন নিযুক্ত রেজিস্ট্রার বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা।
  • ‘হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক এর বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে http://bdlaws.minlaw.gov.bd/

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন

১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও বিবাহ বিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, প্রতিটি বিবাহে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কাজীর দ্বারা নিবন্ধিত হতে হবে। বিবাহ নিবন্ধন করতে না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

১৮৭২ সালের খ্রিস্টান বিবাহ আইন অনুযায়ী, খ্রিস্টানদের জন্য তাদের বিবাহ নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। খ্রিস্টান বিয়েতে নিবন্ধন বিবাহের একটি অংশ, তাই প্রায় সব বিবাহে নিবন্ধিত করা হয়ে থাকে। খ্রিস্টান বিয়ে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং একটি পবিত্র চুক্তি। খ্রিস্টান বিয়ে লিখিত মাধ্যমে সম্পাদিত হয় এবং রেজিষ্ট্রি বাধ্যতামূলকভাবে করতে হয়।

বিদ্রঃ যে কেউ বিবাহ নিবন্ধনের বিধান লঙ্ঘন করলে তাহলে বিনাশ্রমে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৩০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। তবে রেজিস্ট্রেশন না হলে বিয়ে বাতিল হবে না।

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই নিম্নে দেওয়া তথ্য অনুযায়ি বিবাহ নিবন্ধন করতে হবে।

১) প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র যদি থাকে তা কাজীর কাছে নিয়ে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র যদি না থাকে তবে এসএসসি পাশের সনদ কিংবা জন্মনিবন্ধন পত্র সাথে নিয়ে গেলেই হবে।

২) ছেলে/মেয়ে দুইজনের দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে।

৩) সাক্ষী লাগবে অবশ্যই, সাক্ষী হিসাবে বিয়ের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক ২ জন পুরুষ অথবা ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে।

খ্রিস্টান বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনীয় ধাপগুলো হলো:

  • বিয়ের পাত্র-পাত্রীর পুরো নাম ও ডাক নাম এবং পেশা বা অবস্থা
  • পাত্র-পাত্রীর আবাসস্থল ও বাসস্থানের ঠিকানা
  • পাত্র-পাত্রী কতদিন ধরে ঐ এলাকায় বসবাস করছে তার প্রমাণ পত্র
  • বিয়ে সম্পাদনের চার্চ বা অন্যকোন স্থান

 

বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই অনলাইন, বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন, , বিবাহ রেজিস্ট্রেশন আইন, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম ছবি, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন এর উদ্দেশ্য কি,

বিবাহ নিবন্ধন, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন কি, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম, বাংলাদেশ বিবাহ রেজিস্ট্রেশন, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন খরচ, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফরম ছবি, বিবাহ রেজিস্টার, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন বই, মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন ফি, মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন, হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে,

2 thoughts on “অনলাইনে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার নিয়ম

  1. বিয়েটা কি অনলাইনে এন্ট্রি থাকে? মনে করেন আমি বাহিরের কোনো দেশে যাবো, কিন্তু আমি বিয়ের ব্যপারটা গোপন রাখতে চাই, সেক্ষেত্রে কি উনারা অনলাইনে চেক করলে জানতে পারবে?

    1. এখনকার সব অনলাইনে আছে। চেক দিলে পাবে। চেক না দিলে পাবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *