গ্রামে আপনি চাইলেই যেকোনো ব্যবসা করতে পারবেন না। আপনার পরিবার বা বংশপরিচয়ের দিকে তাকিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শহরে কিন্তু এরকমটা হয় না। আপনাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হলে উদ্যোগতা হতে হবে। আর এর জন্য দরকার হলো অল্প পুজিতে গ্রামে ছোট ব্যবসার আইডিয়া যা শুরু করা্র জন্য তেমন কোন ঝুকি নাই। কিন্তু আপনাকে যে এলাকাতে ব্যবসা শুরু করতে হবে সেই এলাকার সম্পদ ও এলাকার মানুষের চাহিদা জানা অত্যন্ত জরুরি। কারণ একটি এলাকার ভৌগলিক ও আর্থসামাজিক অবস্থার ওপরই নির্ভর করে সেই এলাকায় কোন ব্যবসা করলে লাভজনক হবে।
আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান। টাকা বা পুঁজি থাকলে সবাই ব্যবসা করতে পারে কিন্তু সবাই বুঝতে পারে না কোথায় ব্যবসা করে ভালো অর্থ উপার্জন করা যায়। আপনি যদি গ্রামে লাভজনক ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করতে চান তবে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্য। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ও গ্রামে ব্যবসায় বেসিক গুলি জানে আসি।
ক্রমিক নং | ছোট ব্যবসার আইডিয়া |
০১ | আরৎ ব্যবসা |
০২ | মুদি দোকান ব্যবসা |
০৩ | গ্রামে সবজি চাষ |
০৪ | মুরগির খামার |
০৫ | মাছ ব্যবসায় |
০৬ | গরুর ডেইরি ফার্ম |
০৭ | বিভিন্ন প্রশিক্ষণ |
অল্প পুজিতে গ্রামে ব্যবসা
গ্রামে আরৎ ব্যবসা
আরৎ ব্যবসার ধারণা একটি নতুন ব্যবসার ধারণা নয়। তবে অনেকে এটাকে গুদামজাতকরণ ব্যবসা বা গুদামজাত ব্যবসা নামেও চেনেন। আপনি যে কোনও কাঁচামাল থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। গ্রাম থেকে সব ধরনের সবজি সংগ্রহ করে শহরে পাঠিয়ে ভালো আয় করা যায়। শিল্প শুধু কাঁচামাল দেওয়া নয়। মাছ, ডিম, দুধ, কলা, ফল এবং অন্যান্য জিনিসের একটি ভাল সংগ্রহ করে ভাল আয় করার জন্য বিভিন্ন শহরে প্রেরণ করুন। এতে করে আপনার গ্রামের লোকেরা ঝামেলা ছাড়া ভালো ভাবে তাদের পন্য বিক্রয় করেতে পারবে এবং আপনিও বিভিন্ন শহরে বিক্রয় করে লাভোবান হবেন।
মুদি দোকান ব্যবসা
গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? তাহলে শুরু করুন মুদি দোকান ব্যবসায়টি। আমরা সবাই কমবেশি মুদি দোকান সম্পর্কে জানি। মুদি দোকান হল এমন দোকান যেখানে আপনি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। মুদি দোকান সারা দেশে একটি আদর্শ এবং সেরা ব্যবসা । সর্বস্তরের গ্রাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে মুদি দোকানে যেয়ে থাকে। তাই গ্রামে সব থেকে জনপ্রিয় ব্যবসা হল মুদিমালের ব্যবসা।আপনি যদি মুদির ব্যবসা শুধু গ্রামের বাজারে না, গ্রামের রাস্তার পাশে একটি মুদির দোকান দিয়ে ভালো আয় করতে পারেন।গ্রামে এই ব্যবসা করলে বেশি লাভবান হবেন কারণ গ্রামের মানুষ সহজ-সরল, তারা জিনিসপত্রের মূল্য জানে না, তাই কম টাকায় বেশি আয় হবে।
গ্রামে সবজি চাষ
আপনি যদি গ্রামের বেকার ছেলে হন তাহলে আপনি নির্দিধায় সবজি চাষ করতে পারেন। কারণ গ্রামে বিভিন্ন শাকসবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে নানা ধরনের শাক সবজির চাষ হয়। গ্রামের আবহাওয়া অনেক ভাল এখানে বসতিও অনেক কম। গ্রামে চাষি জমির পরিমান অনেক। এখন কার সময় কাচা শাক-সবজির দামও অনেক, তাই আপনি চাইলে গ্রামে সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া
মুরগির খামার
আপনি গ্রামে বসবার করে থাকলে আপনি একটি অপ্রয়োজনীয় জায়গায় খামার তৈরি করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মুরগির ব্যবসার জন্য গ্রাম হলো পারফেক্ট। স্বল্প পুঁজিতে গ্রামে মুরগির খামার গড়ে গ্রামের বেকার সমস্যা দূর করা যায়। কম সময়, কম পরিশ্রম আর স্বল্প পুঁজিতে মুরগির খামার করা যায়। মাত্র দেড় থেকে তিন মাসের মধ্যে উঠে আসে আসোল টাকা। মুরগির মাংস ও ডিমের পাশাপাশি মুরগির বিষ্ঠা জৈব সার হিসেবে বিক্রি করা যায়। আর পরিবারের লোকজনের মাধ্যমেই পরিচালনা করা যায় মুরগির খামার।
মাছ ব্যবসায়
এই ব্যবসা আপনার জন্য যদি আপনি গ্রামে একটি অপ্রয়োজনীয় জায়গা আছে। আপনি এই জায়গায় একটি পুকুর খনন করতে পারেন এবং তাতে মাছের পোনা রাখতে পারেন। সামান্য ফিড দিয়ে শহরে বা গ্রামের বাজারে বিক্রি করে লাভ করা যায়। এর বেশি পুঁজির প্রয়োজন নেই। গ্রামে এ ব্যবসা শুরু করলে আয়ও বেশি হবে। কারণ গ্রামের সকল বিষ্ঠা পুকুরেদিলে আপনার খাবার খরচ বেছেগেল এতে আপনি ভালো লাভোবান হলেন।
গরুর ডেইরি ফার্ম
যখন আমরা খামারের কথা ভাবি, তখন প্রথম যে জিনিসটি আমাদের মনে আসে তা হল ডেইরি ফার্ম।সভ্যতার শুরু থেকে পশু পালন ছিল মানুষের প্রধান পেশা। যুগে যুগে এই পেশার ধরণ বদলেছে। সারা পৃথিবীতে পশুর খামার ব্যবসা একটি অন্যতম উৎপাদনশীল এবং লাভজনক ব্যবসা। সত্যি কথা বলতে, আপনার পকেটে টাকা থাকলে ডেইরি ফার্ম কোন সমস্যা নয়। এই ব্যাবসা করলে আসে ভালো টাকা আয় করাযায়।
বিভিন্ন প্রশিক্ষণ
গ্রামে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা ট্রেনিং সেন্টার করে আপনি ভালো আর্থ আয় করতে পারেন। এই ব্যবসাকে প্রচুর সম্ভাবনাময় ব্যবসা বলতে পারেন। গ্রামের ছাত্রদের বিভিন্ন প্রশিক্ষনের জন্য শহর কেন্দ্রীক যে কোনো প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উপর নির্ভর করতে হয়। এইভাবে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা এবং খরচ উভয় ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত খরচ করতে হয়। এখন আপনি গ্রামের ছাত্র এবং যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন এবং তাদের ভবিষ্যত এবং আপনার নিজের আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনাকে একটি গ্রামীণ বাজারে এমন একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে যেখানে মানুষের সংখ্যা বেশ বডিয় এবং ভালো নিরাপত্তা।
মন্তব্যঃ সবশেষে এটা বলব যে ব্যবসা করা খুব সহজ নয় আর পরিশ্রমী হলে খুব কঠিনও নয়। পরিশ্রম করতে হবে মেধা খাটিয়ে। তাহলেই সফল হবেন।
অল্প টাকায় গ্রামে ব্যবসা, অল্প পুজিতে ব্যবসার আইডিয়া, অল্প পুজিতে ব্যবসা, অল্প পুজির ব্যবসা, বাংলাদেশে অল্প পুজিতে ব্যবসা, গ্রামে অল্প টাকায় ব্যবসা, অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা বাংলাদেশ, অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা, অল্প টাকায় ব্যবসার আইডিয়া, অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া, অল্প পুজিতে ছোট ব্যবসা, অল্প পুজিতে সফল ব্যবসা,