ইউটিউব হলো এমন একটি অনলাইন ওয়েবসাইট যেখানে মূলত ভিডিও আপলোড করে শেয়ার করা হয়। একটি ইউটিউব তৈরি করে যেকেও নিজের বানানো ভিডিও এই ওয়েবসাইটে আপলোড করে লোকেদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আপলোড করা প্রত্যেকটি ভিডিও গুলো যেকেও ইউটিউব ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখেতে পারেন। এক কোথায় বললে গেলে ইউটিউব হলো একটি অনলাইন ভিডিও সিয়ারিং ওয়েবসাইট।
ইউটিউব একটি অনলাইন ওয়েবসাইট যা মূলত ভিডিও আপলোড এবং শেয়ার করে। যে কেউ একটি ইউটিউব তৈরি করে এই ওয়েবসাইটে তাদের নিজস্ব ভিডিও আপলোড করতে পারে ও সেগুলি মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারে এছাড়া অনেক টাকা আয় করতে পারে৷ ইউটিউব একটি অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট। যে কেউ ইউটিউব ওয়েবসাইটে গিয়ে আপলোড করা প্রতিটি ভিডিও দেখতে পারেন।
ক্রমিক নং | আয় করার ৫টি উপায় |
১ | গুগল এডসেন্স করে আয় |
২ | অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় |
৩ | পণ্যের রিভিউ করে আয় |
৪ | অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয় |
৫ | স্পন্সরড ভিডিও করে আয় |
ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়
গুগল এডসেন্স করে আয়
গুগল এডসেন্স হল এমন একটি সার্ভিস যা বিজ্ঞাপনদাতাদের ইন্টারনেটে যেকোনো বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থ প্রদান করে থাকে এবং প্রকাশ করা বিজ্ঞাপ তাদের বিভিন্ন ব্লগ, ইউটিউব ভিডিওতে Google এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়।
এককথায় এটি একটি Google বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যা ব্লগ এবং ওয়েবসাইটের মালিকদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করে।
এখন চলুন জেনে আসি কিভাবে ইউটিউবে গুগল এডসেন্স করে আয় করা যায়, ইউটিউবে আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায় এটি। আপনি যখন আপনার ইউটিউব ভিডিওতে AdSense বিজ্ঞাপন রাখি , তখন এটি বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখায়। যখন ভিজিটররা আমাদের ব্লগ বা ভিডিওতে আসে এবং তখন তারা সেই বিজ্ঞাপন গুলি দেখে এবং সেগুলিতে ক্লিক করে, তখন Google Adsense আপনাকে সেই ভিউ বা ক্লিকের জন্য কিছু অর্থ প্রদান করে। এইভাবে বিজ্ঞাপনটি দেখা এবং ক্লিক করে তখন এক সময়, আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে মোট 100 $ (ডলার) হয়, তখন গুগল সেই টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা ভিডিও বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচার করা যায় এবং বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের কাছে অনলাইনে বিক্রি করা যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইন মার্কেটিং এর সবচেয়ে কার্যকরী একটি পদ্ধতি। এক কথায় মূলত কোন পণ্য বা সেবা নিজের একটি ইউনিক লিংক ব্যবহার করে প্রচারের মাধ্যমে বিক্রয় করা কে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এই মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।
এখন চলুন জেনে আসি কিভাবে ইউটিউবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা যায়, প্রথমে অপনাকে একটি এফিলিয়েট কোম্পানির সাথে যুক্ত হতে হবে। তারপর এই কোম্পানি আপনাকে একটি লিঙ্ক দেবে। এখন আপনার কাজ হল এই লিঙ্কটিকে মানুষের কাছে প্রচার করা। প্রচার করার পর যদি কেউ আপনার লিঙ্কে ক্লিক করে এবং তাদের কোম্পানি থেকে একটি পণ্য ক্রয় করে তাহলে কমিশন আপনার অ্যাকাউন্টে জমা হবে। কিন্তু মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনাকে সততা ও সততার সাথে এটি করতে হবে। মূলত অনলাইন ভিত্তিক সকল মার্কেটিং ভিউওয়ার্স এবং ভিজিটরের সাথে সম্পর্ক। যার যত বেশী ভিজিটর তার তত বেশী আয়। সুতরাং মার্কেটিং এর জন্য যাই করবেন ভিজিটর এবং ভিওয়ার্সের কথা মাথায় রেখেই করবেন। তাহলে অবশ্যই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এক কথায়, বিভিন্ন কোম্পানি সাইটে অ্যাফিলিয়েট রেজিস্টেশন করলে তারা একটি লিংক পাঠাবে সেই লিংকটি তুমি তোমার ইউটিউব ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে দিয়ে দিবে। এরপর তোমার চ্যানেলের এই লিংকে গিয়ে যারা পণ্য কিনবে সেই পণ্যের মূল্য থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তুমি কমিশন হিসেবে পাবে।
পণ্যের রিভিউ করে আয়
বর্তমানে অনেক কোম্পানি আছে যারা এই সুবিধা প্রদান করে। ধরুন আপনি আপনার একটি ভিডিওতে তাদের পণ্য সম্পর্কে কয়েক সেকেন্ড তাদের পণ্যের রিভিউ দিয়েদেন তাহলে এই ক্ষেত্রে, তাদের পণ্য প্রচার করা হবে, এবং তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।
মনে করুন যে কোন একটি পন্যের রিভিউ করবেন। প্রথমে গুগল এ সার্চ করবেন সেই পণ্য সম্পর্কে। যেকোন ওয়েবসাইটে ঢুকে তার সকল তথ্য বের করবেন। এবার সেই পন্যের বিভিন্ন সহ ছবি বের করবেন। তারপর সেই তথ্য ও ছবি দিয়ে সুন্দর একটা ভিডিও এডিট করে ফেলুন। তারপর ভিডিওটা আপলোড করে দিন। এভাবে বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ বানিয়ে আপলোড করে খুব সহজে আয় করতে পারবেন। যাইহোক, এই ধরনের অফার শুধুমাত্র গুণমান এবং উচ্চ দেখা ভিডিও মালিকদের জন্য প্রযোজ্য।
কোর্স বিক্রি করে আয়
আপনি যদি একটি বিষয়ে ভাল হন তবে আপনি অন্যকে শিখিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ইউটিউবের বিভিন্ন কোর্স থেকে মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারে। তাই আপনি বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করে চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন। পড়াশোনার বিভিন্ন কোর্স থাকতে পারে, সেলাই শিক্ষার কোর্স থাকতে পারে এবং বিভিন্ন তথ্যের কোর্স হতে পারে। প্রয়োজনে দর্শকদের সংযুক্ত রাখতে এপিসোড আকারে ভিডিও আপলোড করা যেতে পারে। আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ভিডিওটি থেকে লোকেরা উপকৃত হবে। প্রথম ধাপ হল ফ্রি কোর্সের সাথে আপনার নিজস্ব মার্কেটিং এবং ফ্যানবেস তৈরি করা। তারপর আপনাকে পেইড কোর্স শুরু করতে হবে। তাহলে অবশ্যই আপনি কোর্স বিক্রি করে আয় অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
স্পন্সরড ভিডিও করে আয়
আপনি শুধুমাত্র স্পনসর করা ভিডিও প্রকাশ করে ইউটিউবে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবার বিক্রয় বাড়ানোর জন্য আপনার চ্যানেলে পণ্য বা পরিষেবার স্পন্সরড ভিডিও তৈরি করতে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং ইউটিউবে একটি ভিডিও তৈরি করে প্রকাশ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে, আপনার ভক্তরা পণ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হবে। বিনিময়ে কোম্পানি আপনাকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।