কোন খাবার খেলে ঘুম বেশি হয়

সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঘুম অতি জরুরী। শরীরের ক্লান্তি ও অবসান দূর করার জন্য সর্বনিম্ন ৪-৫ ঘন্টা ঘুম অবস্যই দরকার।ঘুম আমাদের হ্যাড ও ধমনি নিরাময়ের কাজ করে থাকে। অপর্যাপ্ত ঘুম মানুষের শরীরে অনেক সমস্য তৈরী করে যেমন, খিট খিটে ভাব ,অমনযোগি ,সৃতি হ্রাস ইত্যাদি।অতি চেষ্টার ফলে ঘুম না আসলে আমাদের উচিত চিকিৎসা নেওয়া।তাই আমরা ঘরোয়া ভাবেই এই সমস্যার সমাধান নিতে পারি ।আমরা কিছু খাবার খেলেই এর সমাধান সম্ভাব ইনশা-আল্লাহ।

কোন খাবার খেলে ঘুম বেশি হয়

কোন ধরনের খাবার খেলে ঘুম না হওয়া সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় চলুন জেনে আসিঃ

গরম দুধঃ
দুধকে সুষম খাবার বলা হয়। গরম দুধ মাংসপেশিকে শিথিল করে। ফলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে।এবং দুধে প্রচুর মেলাটোনিন ও ক্যালসিয়াম থাকে। এ গুলো হরমোন কে ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন।

চেরি ফলঃ
চেরিতে থাকা মেলাটোনিন যা মানুষিক কিলান্তি ও রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।তা ছাড়া মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এই ফল।রাতে শোবার আগে নিয়মিত চেরি ফল খেলে ভালো ঘুম তো হবেই, একইসঙ্গে যাদের শরীরে উচ্চ পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড আছে তাও নিয়ন্ত্রণে আসবে। তাই আমাদের দিনে ৮-১০ টি চেরি ফল খাওয়া উচিত।

কাঠ বাদাম বা আমন্ডঃ
প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই কাঠ বাদাম। এতে প্রচুর আঁশ ও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। হৃদপিণ্ডের জন্যও বেশ উপকারী।অর্থমলিকুলার মেডিসিন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে যখন ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি থাকে, তখন ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এতে প্রচুর ট্রিপটোফান এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা নার্ভ শান্ত করে। একই সঙ্গে হার্টবিটও স্থিতিশীল রাখে।ঘুমের জন্য এক মুঠো আমন্ড বাদাম যথেষ্ট।তাই কাঠ বাদামকে ঘুমবান্ধব খাবার বলা হয়।

ডার্ক চকোলেটঃ
ডার্ক চকোলেট সেরোটিনিন থাকে যা শরীর ও মন শান্ত করে। এ ছাড়া ডার্ক চকোলেটের একাধিক উপকারিতা রয়েছে।তাই আমাদের ডার্ক চকোলেট খাওয়া উচিত।

পাকা কলাঃ
কলায় প্রচুর পরিমাণে ট্রিপটোফান পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে।এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬।আর এ উপাদানই ঘুম-নিয়মিতকরণ হরমোন মেলাটোনিন উৎপাদনে প্রয়োজনীয়।পটাশিয়াম পায়ের পেশিগুলোকে শিথিল ও শান্ত করবে আর ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ু ও মাংসপেশিতে শিথিল ভাব আনবে। হজম ভালো করে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে কলা ও শরীরকে শান্ত করে। তাই কলা খেলে রাতে ঘুম ভালো হয়।

দানাদার খাবারঃ
গম,ছিম,মটোর ও কলাই এর মতো শস্য জাতীয় খাবার ঘুম আনতে সাহায্য করে। এসব খাবারে সোরোটনিন নামক খাদ্য হরমন বাড়িয়ে আপনাকে ঘুম আনতে সাহায্য করবে।এছাড়া এসব খাবারে থাকা ম্যাগনেসিয়া  নার্ভ শান্ত করতে সাহায্য করে, স্নায়ু ও মাংসপেশিতে শিথিল ভাব আনে।যা ঘুমাতে সাহায্য করে । আমাদের প্রতি দিন দানাদার খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তাই এই শস্য দানা হতে পারে আপনার প্রতি দিনের খাবার।

মিষ্টি আলুঃ
মিষ্টি আলুকে বলা হয় ‘ঘুমের যাদু ।মিষ্টি আলুতে বেশি মাত্রায় পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ক্যালসিয়াম থাকে।এই তিন উপাদানই শরীরকে আরাম করতে সাহায্য করে।তাই ঘুম আনতে মিষ্টি আলুর জুড়ি নাই ।

খাটি মধুঃ
প্রাকৃতিক চিনি মধু কিছুটা ইনসুলিন বাড়ায় এবং মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যান সহজে যেতে সাহায্য করে।মধু শরীরে সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন প্রচুর পরিমান তৈরি করে।মধুতে ঘুম উৎপাদনকারী হরমোন অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফান আছে, যা আমাদের ঘুম ও জেগে ওঠার চক্র ব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী।নিয়মিত মধু খেলে ভালো ঘুম হয়।ঘুমের আগে তাই এক চামচ মধু খেলে আরও সুন্দর ঘুম আসবে।

ডিমঃ
মস্তিষ্কে যে অংশের নিউরন ঘুমাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি সেখানে কাজ করে। যাঁদের ভিটামিন ডির স্বল্পতা থাকে, তাঁদের ঘুম আসতে চায় না। তাই ডিমে আছে ভিটামিন ডি, যা ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং ঘুম আনতে সাহায্য করে।

আঁখের রসঃ
আঁখের রসে ট্রিপটোফ্যানের ভালো উৎস। অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে, যা সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে এতে প্রচুর ঘুম বাড়ায়।ভালো ঘুমাতে চাইলে আঁখের রস খেতে পারেন।

পানিয় ফলঃ
অনেক সময় শরীরে পানির ঘাটতি হলে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। পানিয় ফল শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। আপেল, নাশপাতি, কমলা ফলের মধ্যে পানির পরিমাণ বেশি থাকে ।এই ফল গুল খেলে আপনার শরীর সুস্থ রাখে ও দ্রুত ঘম আনতে সাহায্য করে।

লেটুসঃ
লেটুস পাতায় বিদ্যমান ল্যাকটুক্যারিয়াম ভালো ঘুমে সহায়তা করে।শোওয়ার আগে কয়েকটি লেটুসপাতা গরম জলে ফুটিয়ে খেলে ঘুম ভালো হবে। এ ছাড়া রাতের খাবারে লেটুস সালাদ ও খেতে পারেন।

 


কোন খাবার খেলে ঘুম বেশি হয় ,কোন খাবার খেলে ঘুম আসে ,কোন খাবার খেলে ঘুম ভালো হয় ,কি খেলে ঘুম বেশি হয় ,বেশি ঘুমানোর উপায়, ঘুম বেশি হওয়ার উপায় ,বেশি ঘুম কমানোর উপায় ,বেশি ঘুম দূর করার উপায় ,বেশি ঘুম থেকে বাচার উপায় ,ঘুমানোর উপায় ,ভালো ঘুমানোর উপায় , না ঘুমানোর উপায় ,বেশি ঘুম আসার কারণ ,বেশি ঘুম আসার কারণ কি ,কি খেলে ঘুম বেশি হয় ,ঘুম বেশি হওয়ার কারণ ,ঘুম বেশি হওয়ার কারণ কি ,বেশি ঘুম হওয়ার কারণ ,বেশি ঘুম ,ঘুম হওয়ার উপায় ,ঘুম ভালো হওয়ার উপায় ,ঘুম হওয়ার উপায় কি ,রাতে ঘুম ভালো হওয়ার উপায় ,ঘুম বেশি হয় কোন খাবার খেলে ,ঘুম বেশি হওয়ার কারণ কি ,ঘুম বেশি হলে কি হয় , কি খেলে ঘুম বেশি হয়,কি কি খাবার খেলে ঘুম বেশি হয় ,কি খেলে রাতে ভালো ঘুম হয় ,ঘুম বেশি কেন হয় ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *