খেজুরের রস ও গুড় হল খেজুর থেকে সংগ্রহ করা রস। সাধারণত মাটির পাত্র থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুরের রস দিয়ে ফিরনি, পায়েস ও খেজুরের রস দিয়ে তৈরি গুড় দিয়ে ভাপানো পিঠা ও চিতই পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি। খেজুরের রস পান করলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়। এতে উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক চিনি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই খেজুরের রস পান করা স্বাস্থ্যঝুঁকি।
শীত এলেই মনে হয় খেজুরের রস ও গুড় খাওয়ার কথা। কিন্তু এই খেজুর রসের ও গুড়ের উপকারিতা অনেক তাই আমাদের শীতকালে খেজুর রস ও গুড় খাওয়া উচিৎ। খেজুরের রস কিন্তু বেশ উপকারী পানিও। এতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে।
খেজুর রসের ও গুড়ের উপকারিতা
খেজুর রসঃ খেজুরের রস কাঁচা খাওয়া যায়, আবার জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেও খাওয়া যায়। গুড়ে আয়রন বা লৌহ বেশি থাকে এবং হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। যারা শারীর দুর্বল তারাদের খেজুরের রস দারুণ উপকারী। খেজুরের রস প্রচুর খনিজ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে ১৫-২০% দ্রবীভূত শর্করা থাকে এবং প্রচুর গ্লুকোজের থাকে। এছাড়া খেজুরের গুড়ে ও রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট ও মিনারেল। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তারা খেজুরের রস এড়িয়ে যান।
খেজুর গুড়ঃ শীত হোক বা না হোক, বাঙালিরা খেজুরের গুড়ের জন্য আগ্রহী। আর পায়েসের মধ্যে খেজুরের গুড় দিলে স্বাদ বদলে যায়। শীতকালে বাঙালির কাছে গুড়ের স্বাদ মধুর মতো। আমাদের দেশে খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি করা হয়। বছর শেষে গুড়, পুলি, পায়েস আর মিষ্টি দিয়ে মজা করে বাঙালিরা। গবেষকরা বলছেন, গুড়ের অনেক উপকারিতা রয়েছে। খেজুরের গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যাঁরা রক্তস্বল্পতার ভুগছেন, তাঁরা খেজুরের গুড় খেলে উপকার পাবেন। হাড় ও বাতের ব্যথা কমাতে খেজুরের গুড় বেশ উপকারী।
খেজুর গুড়ের উপকারিতা, খেজুর গুড় এর উপকারিতা,খেজুর গুড় খাওয়ার উপকারিতা, খেজুর রসের উপকারিতা, গুড়ের উপকারিতা,