গাজার উপকারিতা ও অপকারিতা

বাংলাদেশে গাঁজাকে মাদক হিসেবে ধরা হয়।কিন্তু প্রাচীন কালে বিভিন্ন চিকিৎসায় গাঁজা ব্যবহার করছে।গাঁজা একটি গাছের নাম যার বৈজ্ঞানিক নাম Cannabis indica. গাঁজা গাছের পাতা, ডাল এবং ফুল যা এই উপমহাদেশে গাঁজা নামে পরিচিত।গাজা সাধারনত এক এক স্থানে এক এক নাম এ পরিচিত, এর মধ্যে সাধারণত গঞ্জিকা, গাঞ্জা, সিদ্ধি ইত্যাদি নামে বেশি পরিচিত।আবার কোথাও কোথাও ভাং, সিদ্ধি, পাট্টি, সব্জি, গ্রাস, মাজুন নানা নামে ডাকা হয়।আবার পশ্চিমা দেশ গুলোতে মারিজুয়ানা বা মারিহুয়ানা নামে পরিচিত। গাজা গাছ এ অনেক উপকার আছে ও ক্ষতি ও রয়েছে

গাজার উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজা এমন একটি উদ্ভিদ যা ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারত বর্ষে বৈধ ছিল। এটি বর্তমানে মাদক বলে গন্য করা হয়।আধুনিক শাস্ত্রে গাজা কে মহা ঔষধ বলে গন্য করা হয়।চলুন জেনেনি গাজার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

গাজার উপকারিতাঃ

গাজা হল একটি অতি উপকারি দ্রব্য। গবেসকরা বলছে পরিমাণমতো গাজা সেবনে অনেক রোগের উপসম কমে।গাঁজা ওষুধ হিসেবে সেবন করলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়৷অবশ্য চিকিৎসায় রোগের উপশম হিসেবে ক্যানাডা দেশটি ২০১১ সালেই গাঁজা ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। চলুন এর উপকার সম্পর্কে  আনেক তথ্য জেনে আসিঃ

ক্যানসার চিকিৎসাঃ-
নির্দষ্ট পরিমান গাজা সেবন করলে,মানব শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধের কাজ করে।এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবেই স্বীকার দিয়েছে ৷ ২০১৫ সালে সে দেশের ক্যানসার বিষয়ক ওযেবসাইট ক্যানসার অর্গ-এ জানানো হয়।গাঁজা অনেক সময় টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধকের ভূমিকা পালন করে ।

কেমোথেরাপির ক্ষতি কমায়ঃ
যুক্তরাষ্ট্রে এজেন্সি অফ ড্রাগ জানায় ক্যানসারে আক্রান্ত রুগীর এক পর্যায়ে কেমোথেরাপি দিতে হয়।এই কেমোথেরাপির অনেক ধরনের ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা নির্দষ্ট পরিয়ান গাজা সেবন করলে  তা অনেক খানি কমে।

স্ট্রোক ঝুঁকি কমায়ঃ
গাজা মানব দেহের মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। যা যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন।

মৃগীরোগ রোগ উপসমঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট মাত্রায় গাজা সেবনের ফলে মৃগী বা এ ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায় ৷ গবেষকদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত্ব ২০১৩ সালে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স-এ ছাপাও হয়েছে।

গ্লুকোমা সুস্থ রাখেঃ
গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধ করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছিল, নির্দষ্ট পরিমান গাজা সেবন করলে, চোখের গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমায়৷ এই বিষয়টি অনেক আগে জানা গেছে ।

অ্যালঝাইমার বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ মুক্তিঃ
নির্দিষ্ট মাত্রায় গাজা সেবনের ফলে মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াও রোধ করে৷ আর এভাবে আলৎসহাইমার ঝুঁকিও কমাতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন দ্য জার্নাল অফ আলৎসহাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। অতি মাত্রায় গাজা সেবনের ফলে কিন্তু এর বিপরিত হতে পারে ।

মাল্টিপল সক্লেরোসিস রোধঃ
মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে একটি বিশেষ স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হলে ‘মাল্টিপল সক্লেরোসিস’ বা এমএস নামের এক ধরণের স্নায়ুরোগ হয়৷। আরএই রোগের ঝুঁকিও কমে পরামর্শ অনুযায়ী গাজা সেবন করলে ।

ব্যাথা দূর করেঃ
ডায়াবেটিস চরম রূপ নিলে রোগীদের অনেক সময় হাত-পা এবং শরীরের নানা অংশে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়৷ গাজা সেবনে সেই যন্ত্রণা লাঘব করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে  ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষকরা ।

 

গাজার অপকারিতাঃ

গাঁজার ক্ষতি ও উপকারী দিক নিয়ে নানা সময়ই বিতর্ক হয়েছে। কমবেশি গাঁজা সেবন করলেই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে বেশি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে। চলুন এখন দেখে আসি অপকার ও ক্ষতি কর দিকঃ

অণ্ডকোষে ক্যান্সার
যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে,বেশি মার্তায় বা প্রতি দিন গাজা সেবনের ফলে অণ্ডকোষে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ে যায়।

স্মৃতিশক্তি নষ্টঃ
গাঁজা মানুষের স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয়। কারণ, গাঁজা মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। ২০ বছর গবেষণা চালিয়ে ফলাফলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

ধমনী ও শিরা নষ্ট করেঃ
গাঁজা সেবনের ফলে মানুষের শরীরের ধমনী ও শিরা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিগারেটের মতো করে গাঁজা ধোঁয়া টানার ফলে মানুষের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন’-এর গবেষণায় দেখা গেছে এই বিষয় টি।

প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিঃ
অতি বেশি গাঁজা সেবনের ফলে পুরুষের ও মহিলা দের প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক দল মার্কিন গবেষণায় বলা হয়েছে

হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকিঃ
আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন’-এর গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা সেবনের পর হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি সাধারণ অবস্থার তুলনায় চার গুণ বেড়ে যায়।


গাঁজা খেলে কি হয়,গাঁজা সেবনের উপকারিতা ,গাঁজা সেবনের অপকারিতা ,গাঁজা খাওয়ার উপকারিতা ,গাঁজা ইতিহাস ,গাঁজার ইতিহাস ,গাঁজা উপকারিতা , গাঁজার উপকারিতা ও অপকারিতা ,গাঁজার উপকারিতা কি ,গাঁজার উপকার ,গাঁজা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ,গাঁজা খাওয়ার উপকার ও অপকার ,গাঁজা খাওয়ার উপকারিতা কি ,গাঁজা খেলে কি হয় শরীরের ,গাঁজা খেলে শরীরের কি ক্ষতি হয়,গাজার উপকারিতা ও অপকারিতা ,গাজার উপকারিতা ,গাজার অপকারিতা ,গাজা উপকারিতা ও অপকারিতা ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *