চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়
যে কোনো চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার জন্য লেখায় অবশ্যই নিজের ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করতে হবে আর সবচেয়ে বড় কথা যে ক্যাটাগরিতে বা ডিপামেন্টে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছেন সে বিষয়ে আপনে কতটুকু জানেন (দক্ষ্য ) এবং লেখাপড়া করেছেন এটাও জরুরী।
যেকোনো চাকরীর পরীক্ষায় উত্তর লিখার ক্ষেত্রে আপনাকে সবার থেকে একটু আলাদা হতে হবে। যাতে পরীক্ষক সহজেই আপনার লিখা পড়ে বুঝতে পারেন, আপনি মেধাবী ও বিচক্ষণ। সেক্ষেত্রে লিখায় যেসব বিষয় লক্ষ্য রাখবেন তা হল-
১। পয়েন্ট আকারে লিখবেন।
২। লিখায় যত তথ্য দিতে পারবেন ততো ভালো।
৩। আপনার দেয়া তথ্যের রেফারেন্স দিতে ভুলবেন না।
৪। লিখায় কাটাকাটি পরিহার করার চেষ্টা করুণ।
৫। বানান যাতে ভুল না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
৬। সময়ের সাথে সামঞ্জ্যস্য রেখে আপনার উত্তরের আকার কেমন হবে তা লক্ষ্য রাখুন।
চাকরির লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ বা চিন্তা থাকাটাই স্বাভাবিক। এই চিন্তা বা উদ্বেগই পরীক্ষায় ভালো করার মূল চালিকাশক্তি। পরীক্ষা নিয়ে যার কোনো ভাবনাই নেই তার প্রস্তুতিতে যথেষ্ট ঘাটতি থেকে যায়। পড়ালেখা থাকলেই পরীক্ষা থাকবে। এর থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই। আর তাই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল সবারই কাম্য। তবে শুধু পড়ালেখা করে পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। এর জন্য কিছু কৌশল বা ‘‘strategy” অনুসরণ করতে হয়।
১. পড়াগুলোকে সুবিন্যস্ত করে সাজিয়ে পড়া শুরু করা:
পড়া শুরু করতে হবে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে। শুরুতেই মন থেকে পরীক্ষাভীতি ঝেড়ে ফেলতে হবে। পড়াগুলোকে নিজের মতো করে সাজাতে হবে। পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী কোনদিন কি পড়ব তা আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে। এতে পড়তে সুবিধা হয়, পড়া মনে থাকেও বেশি।
২. পড়ে না দেখে লেখার অভ্যাস করা:
আমরা যা পড়ি তা কখনোই পুরোপুরি মনে থাকে না। পরীক্ষার খাতায় হুবহু নির্ভুল লেখা তাই অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে উঠে না। কিন্তু পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নির্ভুল লেখা।
৩. ভুল থেকে শেখা:
ভুল করে শেখা জিনিস অনেকদিন মনে থাকে। তাই ‘কোথায় ভুল হচ্ছে? কেন ভুল হচ্ছে? কী বুঝতে পারছিনা?’ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। এগুলো সমাধান করলেই পরীক্ষায় ভালো করার হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
৪. গ্রুপ স্টাডি করা:
ভাল ফলাফল করার জন্য গ্রুপ স্টাডি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন বিষয় একসাথে গ্রুপ করে পড়লে সেই বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়।
৫. ক্লাস লেকচার ফলো করা:
ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হতে হবে ও মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনতে হবে। কেননা পরীক্ষায় কি আসবে বা কি আসতে পারে তা নিয়ে শিক্ষকরা ক্লাসেই কিছু না কিছু ধারণা দিয়ে থাকেন। এছাড়া কঠিন বিষয়গুলো ক্লাসেই শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে।
৬. নোট তৈরী করা:
নোট করে পড়া ভাল ফলাফলের জন্য বেশ কার্যকর। ভাল নোট পাঠে মনোযোগ বাড়ায় এবং পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলে। তাছাড়া নোট করলে পরীক্ষার আগেই একবার বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এতে প্রস্তুতি নিতে বেশ সুবিধা হয়।
৭. মেমরি টেকনিক ব্যবহার করা:
কিছু কিছু বিষয় থাকে যা মুখস্ত করতেই হয়। সেক্ষেত্রে মেমরি টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। ছড়া দিয়ে অথবা বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে পড়া মনে রাখা যায়। যেমন পর্যায় সারণীর 4A গ্রুপের মৌল গুলো হল: C, Si, Ge, Sn, Pb।
৮. খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা:
কথায় আছে, প্রথমে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী। পরীক্ষার খাতায় সুন্দর হাতের লেখা এবং গোছানো উপস্থাপন শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা অধিক নম্বর পেতে সহায়ক। প্রস্তুতি অনেক ভালো হবার পরও যদি তা খাতায় ঠিকমত উপস্থাপন করা না হয় তবে সেই প্রস্তুতির কোন মূল্য নেই। পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট করাও এজন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়, বেসরকারি চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়, কোম্পানির চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়, সংস্থার চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়, এনজিও চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়, ব্যাংকের চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়, সকল চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়,
চাকরির লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি, চাকরির লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার উপায়, চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি, সরকারি চাকরির লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি,