জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতি

প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ক্রিয়াগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে যা লোকেরা প্রাকৃতিকভাবে অনিচ্ছাকৃত গর্ভাবস্থা রোধে সহায়তা করতে পারে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি গর্ভনিরোধের প্রাচীনতম ফর্মুলা। প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রায়শই কোনও কিছুর জন্য ব্যয় হয় না এবং সাধারণত কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না।আপনি যদি একটি প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন করেন, কার্যকর হওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই এই সিদ্ধান্তের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতি

ক্যালেন্ডার পদ্ধতিঃ
এটা খুব পুরাতন একটি পদ্ধতি, বিজ্ঞানী ওগিনো ১৯৩০ সালে এটা প্রথম বর্ণনা করেন। এই পদ্ধতিটি মূলত গড়ে উঠেছে মাসিকের পর কবে মেয়েদের ডিম্বপাত হয় তার উপর ভিত্তি করে। তাই এই সময়ে যদি কেউ কোন ধরণের জন্মনিরোধক বা জন্মনিয়ন্ত্রক ছাড়া মিলিত হন তবে তাদের গর্ভবতী হয়ে পরার সম্ভাবনা খুবই বেশি।যাদের নিয়মিত মাসিক হয় তাদের মাসিক শুরু হবার ১২ তম থেকে ১৬ তম দিনের মাঝে ডিম্বপাত হবে।তবে আধুনিককালে এই সময়কে আরেকটু বাড়িয়ে ১০ম দিন থেকে ১৮ তম দিন পর্যন্ত ধরা হয়।মাসিক শুরুর আগের নয়দিন এবং মাসিক পরবর্তী চারদিনই সেফ পিরিয়ড বা নিরাপদ সময় হিসেবে গণ্য করা হয়।  হিসেব করেও এটি বের করা যায়। ধরুন ২৮ দিন পরপর আপনার নিয়মিত মাসিক হয়। ২৮ থেকে প্রথমে ১৮ এবং পরে ১০ বাদ দিন। অর্থাৎ মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে নবম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদ, দশম দিন থেকে ১৮তম দিন পর্যন্ত আপনি ঝুঁকিপূর্ণ এবং আবার ১৯তম দিন থেকে ২৮তম দিন পর্যন্ত আপনি নিরাপদ। অনেকের অনিয়মিত মাসিক হয়। ধরুন কোনো মাসে ৪৫ দিন পর এবং অন্য মাসে ২৬ দিন পর হয়। সে ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ১০ বাদ দিন  এবং ২৬ থেকে ১৮ বাদ দিন অর্থাৎ মাসিক চক্রের অষ্টম দিন থেকে ৩৫তম দিন পর্যন্ত আপনি ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন। বাকি সময় মোটামুটি নিরাপদ।

অনেক ধর্মের ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী পিরিয়ডের সময় মিলিত হওয়াকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সেই সময়ও গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা একদমই কম। কিন্তু পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন এড়িয়ে চলাটা তুলনামূলক ভাবে ভালো।

শারিরীক অবস্থা বুঝেঃ
ডিম্বপাতের সময় জরায়ু থেকে বের হওয়া নিঃসরণে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। ডিম্বপাতের সময় স্রাবের প্রকৃতি হয় পানির মতো পরিষ্কার, পিচ্ছিল, পাতলা এবং পরিমান হয় খুব বেশি- সব মিলিয়ে একে কাঁচা ডিমের সাদা অংশের সাথে তুলনা করতে পারেন আপনি। আর ডিম্বপাতের পর পর প্রোজেস্টেরন হরমোনের প্রভাবে নিঃসরণ বেশ ঘন হয় এবং পরিমান তুলনামূলকভাবে কমে আসে। টিস্যু পেপার ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি স্রাবের ধরণ আলাদা করে নিরাপদ যৌনমিলনের দিনগুলো নিজেই নির্ধারণ করতে পারেন।

উইথড্রয়িং মেথডঃ
গর্ভনিরোধের প্রত্যাহার পদ্ধতিটি হ’ল গর্ভধারণ রোধের জন্য বীর্যপাতের আগে যোনি থেকে লিঙ্গ প্রত্যাহার এবং মহিলার বাহ্যিক যৌনাঙ্গ থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া।জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রত্যাহার পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে স্ব-নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। তারপরেও, প্রত্যাহার পদ্ধতিটি জন্ম নিয়ন্ত্রণের একটি বিশেষ কার্যকর রূপ নয়। প্রত্যাহার যথাযথভাবে সময় নির্ধারিত না হওয়া বা প্রাক-বীর্য তরলটিতে শুক্রাণু থাকলে শুক্রাণু যোনিতে প্রবেশ করতে পারে। প্রত্যাহারের পদ্ধতিটি যৌন সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয় না।গর্ভনিরোধের প্রত্যাহার পদ্ধতিটি গর্ভাবস্থা রোধ করতে সহায়তা করে
বিনামূল্যে এবং সহজেই উপলব্ধ
এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই
কোনও ফিটিং বা প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন হয় না
কিছু দম্পতিরা প্রত্যাহার পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন কারণ তারা অন্যান্য গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান না।

স্তন্যদানের সময়ঃ
বাচ্চা হবার পরপর যদি মা বাচ্চাকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ান তবে সেই সময় নিঃসৃত হরমোনের প্রভাবে অনেকদিন পর্যন্ত ডিম্বপাত বা মাসিক হয় না। তাই সে সময়ও জন্মনিয়ন্ত্রক ছাড়া মিলন তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ।অপরদিকে কনডম ব্যবহার করা হলে এক সদস্য থেকে অপর সদস্যে বিভিন্ন রোগ ছড়ানর সম্ভাবনা যেমন কমে যায়, তেমনি জন্মবিরতিকরণ পিল ব্যবহার করলে কমে গর্ভধারণের ঝুঁকি। তাই প্রাকৃতিক পদ্ধতির সাথে সাথে যদি কোন কৃত্রিম পদ্ধতিও অনুসরণ করা হয়, তবে সেটাই হবে সবচেয়ে লাভজনক!তবে এই পদ্ধতি ব্যবহারে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় – যেমনঃ

  • আপনার সন্তান প্রসবের পর কোন মাসিকনা হয়ে থাকলে।
  • আপনি আপনার সন্তানকে বুকের দুধ এবং শুধু মাত্র বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেনকিনা।
  • আপনার বাচ্চার বয়স ৬ মাসের কমহলে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক উপায় ,জন্ম নিয়ন্ত্রনের প্রাকৃতিক পদ্ধতি ,জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতি ,প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ ,জন্মনিয়ন্ত্রণ ও ইসলাম ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ,জন্মনিয়ন্ত্রণ ,জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপায় ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার উপায় ,জন্ম নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক উপায় ,জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ,জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহ ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি কি ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ কি ,জন্মনিয়ন্ত্রণ করার নিয়ম ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করা যায় ,জন্ম নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ,বাচ্চা হওয়ার পর জন্ম নিয়ন্ত্রণ ,জন্ম নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে ,সঠিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ,জন্মনিয়ন্ত্রন ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *