তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম হল রাতের বেলা এই সালাত আদায় করা।তাহাজ্জুদ অর্থ জেগে উঠ এবং অন্য অনুবাদ, রাত্রি ঘুম হতে জেগে উঠ তাঁহার সহিত। অর্থাৎ অজ্ঞানতার অন্ধকার হতে জেগে উঠ তাঁহার সহিত অর্থাৎ আপন রবের সহিত।সকলে যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকে তখন কষ্টকরে ঘুম থেকে উঠে যে নামাজ পরা হয় তাকে তাহাজ্জুদ নামাজ বলে এতি শুরু হয় এশার নামাজের পর থেকে ফজরের আগ পর্যন্ত।তাহাজ্জুদ আরবি শব্দ। তাহাজ্জুদের সালাত বা কিয়ামুল লাইল নামেও পরিচিত এই সালাত।এই সালাত টি পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মত বার্ধ্যতামূলক নয়।

ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন ।তিনি তার সাহাবী গন কে এই সালাত আদাই এর জন্য উৎসাহিত করতেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বলতেন।আমরা নিয়মিত ওয়েবসাইট এর সকল তথ্য আপডেট করার চেষ্টা করে থাকি। আপনারা বিজ্ঞপ্তি গুলা সিয়ার করে আপনার প্রিয় জনকে সাহায্য করুন।প্রতি নিয়োত নিউ আপডেত পেতে আমাদের ওয়েবসাইট bdnextweb.com এর সাথে থাকুন।তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে সকল তথ্য নিম্নে প্রদান করা হলঃ

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

মধ্যরাতের পরে ঘুম থেকে উঠার ব্যবস্থা করুন। এশার নামাজ পড়ার পরে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফজরের নামাজের আগের রাতে ঘুম থেকে ওঠার ব্যবস্থা করুন (উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি অ্যালার্ম ঘড়ি সেট করতে পারেন বা কোনও পরিবারের সদস্য আপনাকে জাগাতে রাজি করতে পারেন)। যদিও তাহাজ্জুদ রাতের যে কোন অংশে নামাজ আদায় করা যায়, তবে সম্ভব হলে মধ্যরাতের পরে বিশেষত রাতের শেষ তৃতীয়াংশের মধ্যে নামাজ আদায় করা ভাল।এশার নামাজ ও ফজরের নামাজের মধ্যবর্তী দুই-তৃতীয়াংশ সময় তাহাজ্জুদের জন্য ভাল সময়। এর কারণ এই যে, আল্লাহ রাতের শেষ তৃতীয় সময়ে সর্বনিম্ন আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে কে আমাকে ডাকে, তাই আমি তাকে উত্তর দিতে পারি? কে আমার ক্ষমা প্রার্থনা করছে, তাহলে আমি কি তাকে ক্ষমা করতে পারি?
আপনি যদি জেগে ও তাহাজ্জুদ আদায় এর জন্য সৎ প্রচেষ্টা করেন তবে দুর্ঘটনাক্রমে রাত্রে ঘুমিয়ে যান, নিজেকে দোষী মনে করবেন না। হাদীছে বর্ণিত আছে যে, তাহাজ্জুদ করার জন্য আল্লাহ আপনার সত্যিকারের ইচ্ছা লিপিবদ্ধ করেছেন এবং রহমত হিসাবে আপনাকে নিদ্রা দান করেন। আপনি পুরষ্কার পাবেন যেমন আপনার উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে। তবে, যদি আপনি অযৌক্তিকতার কারণে যথাযথ কারণ ছাড়াই তাহাজ্জুদ পড়ার আপনার ইচ্ছাটিকে ত্যাগ করার সচেতন সিদ্ধান্ত নেন তবে তা উপেক্ষা করা হবে না।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ – اَللهُ اَكْبَر   

অর্থঃ দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি..

অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।

তাহাজ্জুদের সালাত আদায়

তাহাজ্জুদের সালাত আদায় এর সময় যা খিয়াল রাখতে হবে তাহল।আপনাকে একটি সময় নির্বাছন করতে হবে। আপনি যে সময়টি পছন্দ করেছেন সেই সময় রাতে জেগে উঠুন।আপনি প্রথমে ঘুম থেকে উঠে ওজু করুন।পবিত্র কুরআন প্রার্থনা বা পরিচালনা করার আগে মুসলমানরা নিজেদের পবিত্র করার জন্য সঠিক নিয়মে ওজু করুন। ঐতিহ্যগতভাবে, ওযু করার অর্থ নির্দিষ্ট উপায়ে নিজেকে জল ব্যবহার করে ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা।লক্ষ করুন যে অনেক মুসলিম (হযরত মুহাম্মদ (সা) সহ) তাহাজ্জুদের পূর্বে একটি মিসওয়াক দিয়ে মুখ এবং দাঁত ধোয়া পছন্দ করেন।আনার যদি মনে হয় আপনি নাপাক তাহলে ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম গোসল করেনিন তারপর ওজু করুন এবং তারপর সঠিক ও পবিত্র স্থান নির্বাচন করুন এবং সালাত আদায় করুন। এ নামাজের রাকাত সংখ্যা সর্বনিম্ন দুই রাকাত থেকে সর্বোচ্চ ৮ রাকাত পড়া উত্তম। তবে আরও বেশি পড়া জায়েজ আছে।


তাহাজ্জুদ নামাজ,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,তাহাজ্জুদের সময়,তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত না নফল,তাহাজ্জুদ অর্থ কি,তাহাজ্জুদ অর্থ,তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ,তাহাজ্জুদ আদায়ের নিয়ম,আজকের তাহাজ্জুদ নামাজের সময়,আজকে তাহাজ্জুদ নামাজের সময়,আজকে তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময়,তাহাজ্জুদের নিয়ম,তাহাজ্জুদ এর নিয়ম,তাহাজ্জুদ নিয়ম,তাহাজ্জুদ কি,তাহাজ্জুদ সময়,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মাবলী,তাহাজ্জুদ নামাজ উইকিপিডিয়া,তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া,তাহাজ্জুদ এর নামাজ,তাহাজ্জুদ নামাজের টাইম ,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *