ফাইবারে কাজ করার নিয়ম- ফাইবার টিপস পর্ব ০২

যারা একে বারেই নতুন মুলত তাদের জন্যই আমার আজকের এই লেখা ।নতুন দের সবাই বলে লেগে থাকো সাফল্য আসবে।কিন্তু সঠিক গাইড লাইন কেউ দিতে চায়না ,আবার দেখা যায় অনেক সময় সাফল্যের অভাবে,নতুন রা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।আমি ব্যক্তগত ভাবে মনে করি নতুন দের আমন কাজ করা উচিত যা থেকে অল্প সময় এ সাফল্য আসবে ,যা তার কনফিদেস্ন বারাতে সাহায্য করবে।আর এই কনফিদেস্ন তাকে বহু দুর নিয়ে যাবে।
আমার মতে নতুন দের জন্য ফাইবার হচ্ছে স্বপ্ন পূরণের এবং আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মার্কেটপ্লেস। এখানে অনেক সুযোগ আছে নতুনদের কাজ পাওয়ার।ফাইবার মার্কেটপ্লেসের নাম অনেকাই শুনে থাকবেন।আবার অনাকেই গিগ তৈরী করাছেন ।কিন্তু গিগ সেল হচ্ছে না।আমি আজকে আপনাদের কে ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে এবং গিগ কিভাবে সেল করাবেন সে সম্পর্কে যানাব।

ফাইবারে কাজ করার নিয়ম

ফাইবারে কাজ করার নিয়ম

১।ফাইবার মার্কেটপ্লেসঃ

ফাইবার হচ্ছে একটি গ্লোবাল আনলাইন মার্কেট প্লেস।যেখানে বিক্রেতা তার গিগ কে (কোন পণ্য বা সেবা কে গিগ বলা হয়)সর্বনিম্ন $ 5 এ সেল করতে পারবেন।একটি পরিসংখানে দেখা গেছে ফাইভারে $5-$500 মঠ্যে ৩ মিলিয়নে বেশী সেবা পাওয়া যায়।ফাইবার অনেকটা এরকমই এখানে যা পাওয়া যায় তার সর্নিম্ন মূল্য $5।
যেমনঃ আপনার একটা গিগ আছে ,একজন বায়ার সেই গিগ টা কিনবে।কিন্তু তার ১০ টা লাগবে ।তখন সে আপনাকে ৫০ ডলার দিবে।ফাইভারের স্লোগান ৫ ডলারের হলেও ফাইভার আসলে শুধু ৫ ডলারের নয়। আসল সত্যি হচ্ছে ফাইভা্রে ৫ ডলারের নিচে কোন কাজ নেই।আপনি যদি বায়ার কে কনভিন্স করতে পারেন তবে তা $5 এর বেশি যে কোন মূল্য হতে পারে।

২।একাউণ্ট তৈরী:

আপনি যদি ফাইবার এ কোন কিছু সেল করতে চান, তবে অবশ্যই একটি একাউণ্ট করতে হবে।একাউণ্ট তৈরী করা একে বারে সহজ। আমার মনে হয় এটা দেখানোর কোন দরকার নেই। আমরা সবাই একাউন্ট তৈরি করতে পাব। স্টেপ বাই স্টেপ যে ইনফর্মেশন চাইবে তা দিলেই হবে।
কিছু জিনিস এর দিকে শুধু একটু খেয়াল রাখবেন-
১। প্রোফাইল পিকচার
২।এবাউট ইউর সেলফ
প্রোফাইল পিকচারঃ এটা একটা গুরত্ব পূর্ন বিষয় ।কারন প্রোফাইল পিকচার টা আপনাকে বায়ারের কাছে উপস্থাপন করে।বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “আগে দর্শণ বিচারি পরে গুন বিচারি”।তার মানে হচ্ছে আগে আপনার প্রোফাইল পিকচার দিয়ে তাকে বুঝাতে হবে যে আপনি একজন কোয়ালিফাই্ড পারসন।
আপনি এমন ছবি বাছাই করবেন যেখানে আপনাকে প্রফেশনাল মনেহবে।আপনি যদি চান তবে আপনার গিগ রিলেটেড লোগো তৈরী করেও দিতে পারেন।
এবাউট ইউর সেলফঃ আপনি যে বিষয়ে গিগ বানাবেন ,সে সম্পর্কে আপনার আভিজ্ঞতার কথা জানাবেন।আপনি যদি ২,৩ টি বিষয়ের উপর গিগ বানাতে চান ,তবে সে বিষয় গুল যে আপনি যানেন তা অবশ্যই লেখবেন।
যা করবেন না-
১।যে বিষয়ের উপর আপনার আভিজ্ঞতার কথা প্রোফাইলে লেখা নাই সে বিষয়ে গিগ বানাবেন না।

২।কারো প্রোফাইল থেকে কেন কিছু কখনোই কপি পেস্ট করবেন না।সবার তা দেখে ধারনা নিতে পারেন।

৩।ভুল ইংলিশ লিখবেনা।দরকার হলে যে ইংলিশ এ ভালো তাকে দিয়ে লেখিয়ে নিবেন।

৩।GIG তৈরীঃ
 Gig তৈরী করার জন্য create a new gig এ যেতে হবে।চলুন ফ্লোয়চাট এর মাধ্যমে দেখি।
Create a new gig
Gig title
(title টা গুরুত্বপূর্ন, কারন টাইটেল দেখেই বায়ার আপনার গিগ এর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবে।টাইটেল টা আবশ্যই unique দিতে হবে।এবং ৮০ ওয়ার্ড এর ভিতর।)
category
(আপনার গিগ কোন category যায় সে হিসাবে সিলেক্ট করতে হবে।)
Gig gallery
(Gig gallery তে আপনার গিগ এর সাথে যায় এমন একটি ছবি দিবেন,ছবি কপি পেস্ট করবেন না,নিজে এডিট করে দিবেন)
Description
Duration
Tags
( আপনার গিগ সম্পের্ক অল্প কথায় সুন্দর করে গুছিয়ে লেখতে হবে,সঠিক ইংলিশে লিখবেন।)
Instruction for buyer
আপনি এই গুল স্টেপ বাই স্টেপ পুরা করবেন।এবং সেব করবেন।তার পরে আসবে Video-for your Gig।
এটি একটি গুরত্ব পূর্ন বিষয়।অবশ্যই,অবশ্যই ভিডিও দিবেন।তাহলে গিগ সেল ভালো হবে।এভাবে আপনি একটি গিগ তৈরী করতে পারবেন।
ফাইবারে কি কি সেল হয় বা কি ধরনের গিগ সেল করতে পারবেনঃ
এখানে বিক্রি হয়না এমন কোন কাজ বোধহয় নেই । আপনি যা ভাল পারেন তা দিয়েই এখানে শুরু করতে পারেন। তবে এই টাইপ এর গিগ বেশি সেল হয়-voice narration, video creating, bizarre services, proofreading, content creation like blog posts, artwork creation like sketches or logos, a lot of computer services like fixing WordPress or programming in .NET, etc
কিভাবে গিগ কে সর্চের ফলাফলের সামনে রাগবেন:
বায়ারের যখন কোন গিগ এর দরকার হয়, তখন সে ফাইভারে গিয়ে সার্চ করে। সার্চের প্রথম দিকে সে যে গিগটি পাবে তা থেকে ওয়াদার দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।তাই আমন কিছু করতে হবে যাতে গিগটিকে সার্চের ফলাফলের প্রথমে আনা যায় ।
চলুন কিছু টিপস জেনে নেই-
১।আকর্ষণীয় টাইটেল-এমন টাইটেল দিতে হবে যেন বায়ার গিগ এর ভিতরে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়।
২।ট্যাগে কম করে হলেও ৩টি পোস্ট করতে হয়।সে ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করুন।
৩।ছবি-গিগ এর সাথে যায় এমন একটি ছবি দিবেন,ছবি কপি পেস্ট করবেন না,নিজে এডিট করে দিবেন।
৪।আকর্ষণীয় টাইটেল-এমন টাইটেল দিতে হবে যেন বায়ার গিগ এর ভিতরে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়।
৫।ট্যাগে কম করে হলেও ৩টি পোস্ট করতে হয়।সে ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করুন।
৬।ছবি-গিগ এর সাথে যায় এমন একটি ছবি দিবেন,ছবি কপি পেস্ট করবেন না,নিজে এডিট করে দিবেন।
৭।ভিডিও ব্যবহার-গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, Fiverr ব্লগ থেকে জানা গেল যে, যেসকল গিগে ভিডিও ছিল তাদের সেল অনেক বেড়েছে।
 ৪।মারর্কেটিং পলেসিঃ

প্রচুর মানুষকে গিগটির লিংকে ক্লিক করানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করতে হবে।কারন যখন অনেক মানুষ গিগ টি সম্পর্কে যানবে এবংগিগটির লিংকে ক্লিক করবে তখন সার্চের প্রথম দিকে আপনার গিগটিকে পাওয়া যাবে এবংবিক্রির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারঃ
গিগটিকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে -ফেসবুক,গুগল প্লাস,টুইটার, লিংকডিন, রেডিট ,ইনস্টাগ্রামইত্যাদি শেয়ার করতে হবে।কারন বর্তমানে মার্কেট প্লেসে কাজ করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োগ ।

৫।গিগ এর রিভিউ বৃদ্ধিঃ
আপনি যদি আমি এতক্ষণ যা বলেছি তা অনুসরণ করেন এবং সে আনুযায়ী কাজ করেন তবে আশা করা যায় খুব দ্রুত কিছু গিগ বিক্রির অর্ডার পেয়ে যাবেন। বায়ারের চাহিদা অনুযায়ি কাজ করে এবং সময়মত কাজ ডেলিভারি দিয়ে বায়ারের কাছ থেকে ভাল ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন। 
৬।ফাইবার এর জন্য ভিডিও তৈরী করার নিয়মঃ
=======================
• ভিডিও অবশ্যই ১ মিনিট বা তার কম হতে হবে
• “Exclusively on Fiverr” এই কথাটা অবশ্যই গিগের ভিডিওতে থাকতে হবে। সেটা লিখে, মুখে বলে, বা ছবির মাধ্যমে যে ভাবে হোক।
• পর পর তিনবার ভিডিও রিজেক্ট হলে আর কখনই গিগে ভিডিও যুক্ত করতে পারেন না।
• ভিডিও অবশ্যই গিগের উপর ভিত্তি করে হতে ।
• ভিডিও যুক্ত করার সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গিগে শো করে।
• ভিডিও পাবলিশ হবার পর যতবার খুশি ভিডিও পরিবর্তন করতে পারব।

ফাইবারে কাজ করার নিয়ম,ফাইবার গিগ মার্কেটিং,ফাইবার মার্কেটপ্লেস,ফাইবার গিগ কি,ফাইবার অপটিক্স কি,ফাইবার তারের দাম,ফাইবার টিপস,ফাইবার এ কাজ করার নিয়ম,ফাইবার এ কাজ,ফাইবার bd,ফাইবার কি,ফাইবার কি ভিডিও,ফাইবারে কি কাজ পাওয়া যায়,ফাইবার গ্লাস কি,fiverr gig,fiverr logo png,fiverr forum,fiverr gig marketing,fiverr description,fiverr gig image size,fiverr affiliate,fiverr account,bdnextweb.com,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *