যারা একে বারেই নতুন মুলত তাদের জন্যই আমার আজকের এই লেখা ।নতুন দের সবাই বলে লেগে থাকো সাফল্য আসবে।কিন্তু সঠিক গাইড লাইন কেউ দিতে চায়না ,আবার দেখা যায় অনেক সময় সাফল্যের অভাবে,নতুন রা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।আমি ব্যক্তগত ভাবে মনে করি নতুন দের আমন কাজ করা উচিত যা থেকে অল্প সময় এ সাফল্য আসবে ,যা তার কনফিদেস্ন বারাতে সাহায্য করবে।আর এই কনফিদেস্ন তাকে বহু দুর নিয়ে যাবে।
আমার মতে নতুন দের জন্য ফাইবার হচ্ছে স্বপ্ন পূরণের এবং আত্মবিশ্বাসী হওয়ার মার্কেটপ্লেস। এখানে অনেক সুযোগ আছে নতুনদের কাজ পাওয়ার।ফাইবার মার্কেটপ্লেসের নাম অনেকাই শুনে থাকবেন।আবার অনাকেই গিগ তৈরী করাছেন ।কিন্তু গিগ সেল হচ্ছে না।আমি আজকে আপনাদের কে ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে এবং গিগ কিভাবে সেল করাবেন সে সম্পর্কে যানাব।
ফাইবারে কাজ করার নিয়ম
১।ফাইবার মার্কেটপ্লেসঃ
ফাইবার হচ্ছে একটি গ্লোবাল আনলাইন মার্কেট প্লেস।যেখানে বিক্রেতা তার গিগ কে (কোন পণ্য বা সেবা কে গিগ বলা হয়)সর্বনিম্ন $ 5 এ সেল করতে পারবেন।একটি পরিসংখানে দেখা গেছে ফাইভারে $5-$500 মঠ্যে ৩ মিলিয়নে বেশী সেবা পাওয়া যায়।ফাইবার অনেকটা এরকমই এখানে যা পাওয়া যায় তার সর্নিম্ন মূল্য $5।
যেমনঃ আপনার একটা গিগ আছে ,একজন বায়ার সেই গিগ টা কিনবে।কিন্তু তার ১০ টা লাগবে ।তখন সে আপনাকে ৫০ ডলার দিবে।ফাইভারের স্লোগান ৫ ডলারের হলেও ফাইভার আসলে শুধু ৫ ডলারের নয়। আসল সত্যি হচ্ছে ফাইভা্রে ৫ ডলারের নিচে কোন কাজ নেই।আপনি যদি বায়ার কে কনভিন্স করতে পারেন তবে তা $5 এর বেশি যে কোন মূল্য হতে পারে।
২।একাউণ্ট তৈরী:
আপনি যদি ফাইবার এ কোন কিছু সেল করতে চান, তবে অবশ্যই একটি একাউণ্ট করতে হবে।একাউণ্ট তৈরী করা একে বারে সহজ। আমার মনে হয় এটা দেখানোর কোন দরকার নেই। আমরা সবাই একাউন্ট তৈরি করতে পাব। স্টেপ বাই স্টেপ যে ইনফর্মেশন চাইবে তা দিলেই হবে।
কিছু জিনিস এর দিকে শুধু একটু খেয়াল রাখবেন-
১। প্রোফাইল পিকচার
২।এবাউট ইউর সেলফ
প্রোফাইল পিকচারঃ এটা একটা গুরত্ব পূর্ন বিষয় ।কারন প্রোফাইল পিকচার টা আপনাকে বায়ারের কাছে উপস্থাপন করে।বাংলায় একটা প্রবাদ আছে “আগে দর্শণ বিচারি পরে গুন বিচারি”।তার মানে হচ্ছে আগে আপনার প্রোফাইল পিকচার দিয়ে তাকে বুঝাতে হবে যে আপনি একজন কোয়ালিফাই্ড পারসন।
আপনি এমন ছবি বাছাই করবেন যেখানে আপনাকে প্রফেশনাল মনেহবে।আপনি যদি চান তবে আপনার গিগ রিলেটেড লোগো তৈরী করেও দিতে পারেন।
এবাউট ইউর সেলফঃ আপনি যে বিষয়ে গিগ বানাবেন ,সে সম্পর্কে আপনার আভিজ্ঞতার কথা জানাবেন।আপনি যদি ২,৩ টি বিষয়ের উপর গিগ বানাতে চান ,তবে সে বিষয় গুল যে আপনি যানেন তা অবশ্যই লেখবেন।
যা করবেন না-
১।যে বিষয়ের উপর আপনার আভিজ্ঞতার কথা প্রোফাইলে লেখা নাই সে বিষয়ে গিগ বানাবেন না।
২।কারো প্রোফাইল থেকে কেন কিছু কখনোই কপি পেস্ট করবেন না।সবার তা দেখে ধারনা নিতে পারেন।
৩।ভুল ইংলিশ লিখবেনা।দরকার হলে যে ইংলিশ এ ভালো তাকে দিয়ে লেখিয়ে নিবেন।
৩।GIG তৈরীঃ
ফাইবারে কি কি সেল হয় বা কি ধরনের গিগ সেল করতে পারবেনঃ
কিভাবে গিগ কে সর্চের ফলাফলের সামনে রাগবেন:
৪।মারর্কেটিং পলেসিঃ
প্রচুর মানুষকে গিগটির লিংকে ক্লিক করানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করতে হবে।কারন যখন অনেক মানুষ গিগ টি সম্পর্কে যানবে এবংগিগটির লিংকে ক্লিক করবে তখন সার্চের প্রথম দিকে আপনার গিগটিকে পাওয়া যাবে এবংবিক্রির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারঃ
গিগটিকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে -ফেসবুক,গুগল প্লাস,টুইটার, লিংকডিন, রেডিট ,ইনস্টাগ্রামইত্যাদি শেয়ার করতে হবে।কারন বর্তমানে মার্কেট প্লেসে কাজ করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োগ ।