ভারতের ভিসা করার নিয়ম – সব ধরনের ভারতের ভিসা প্রসেসিং

চলুন আজ ভারতের ভিসা করার নিয়ম নিয়ে সকল খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নিই। সব ধরনের ভারতের ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন আমাদের এই পোস্ট পড়ে। সহজ ভাষায়,  মেডিকেল, আ্যাটেন্ডেন্ট, আর টুরিস্ট ভিসার জন্য কিছু ডকুমেন্ট একই। আর আপনার সাথে যদি ডিপেন্ডেন্ট হিসেবে কাউকে নিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য অনেক ডকুমেন্ট হুবহু আপনার নিজেরটার কপি জমা দিতে হয়। এই ডকুমেন্টগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলার আগে আসেন একটা লিস্ট করে ফেলি। এই লিস্ট ইন্ডিয়ান ভিসা সেন্টারের সামনেও দেয়া থাকে।

জরুরী ব্যাপার হলো:  আপনার কাগজপত্র যখন একটার পর একটা সাজিয়ে জমা দিতে যাবেন, তখন কাগজপত্র এই লিস্টের ক্রম অনুসারেই সাজাতে হবে। সব ধরনের ভারতের ভিসা প্রসেসিং এর তথ্য নিচে দেয়া হলো।

     ভারতের ভিসা করার নিয়ম

 ভারতের ভিসা করার নিয়ম

টুরিস্ট ভিসা

  • অনলাইনে পুরন করা ভিসা ফরম এর প্রিন্ট আউট (সাথে এক কপি ছবি)
  • স্মার্ট কার্ড, এন আইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি (পাসপোর্টে যেটার নাম্বর দেয়া আছে)
  • বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুত,পানি,গ্যাস বিল) এর ফটোকপি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ডলার এন্ডোর্সমেন্ট
  • নিজের/অবিভাবকের পেশাগত প্রমানপত্র
  • পাসপোর্ট এর ফটোকপি (জাতীয় সঙ্গীতের পেজ আর তথ্য সহ পেজ)

মেডিকেল/এ্যটেন্ডেন্ট ভিসা

  • অনলাইনে পুরন করা ভিসা ফরম এর প্রিন্ট আউট (সাথে এক কপি ছবি)
  • স্মার্ট কার্ড, এন আইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি (পাসপোর্টে যেটার নাম্বর দেয়া আছে)
  • বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুত,পানি,গ্যাস বিল) এর ফটোকপি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ডলার এন্ডোর্সমেন্ট
  • নিজের/অবিভাবকের পেশাগত প্রমানপত্র
  • ভারতীয় হাসপাতালের নির্দিষ্ট তারিখ দেয়া আছে এমন এ্যাপয়েন্টমেন্ট
  • মেডিকেল কাগজপত্রের ফটোকপি (মুল কাগজপত্রও ওরা নিয়ে রাখে আবার পরে ফেরত দেয়)
  • পাসপোর্ট এর ফটোকপি (জাতীয় সঙ্গীতের পেজ আর তথ্য সহ পেজ)

 

ছবি তোলা:

একটি সদ্য তোলা (৩ মাসের বেশী পুরোনো নয়) ২x২ (৩৫০x৩৫০ পিক্সেল) সাইজের রঙিন ছবি যেন পুরো মুখমন্ডল দেখা যায় এবং ছবির পিছনের অংশ সাদা হতে হবে ।প্রিন্টেড ছবি এক কপি দরকার হয়। সেইম ছবি অনলাইনে পুরন করার সময় আপলোড করতে হয়। তাই ছবি নেয়ার সময় সফট কপি নিতে ভুলবেন  না।

জাতীয় পরিচয়পত্র, স্মার্ট কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি:

পাসপোর্ট করার সময় এর মধ্যে যেই ডকুমেন্ট দেয়া হয়েছিলো (পাসপোর্টে নাম্বর দেয়া থাকে)। সেই ডকুমেন্টের এক কপি ফটোকপি দিতে হয়। আপনার যদি ন্যাশনাল আইডি কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট করা হয়ে থাকে কিন্তু  পরে সেটা পাল্টায়ে স্মার্ট কার্ড দিয়েছে সেক্ষেত্রে আপনি যেটা করতে পারেন স্মার্ট কার্ডের ফটোকপির সাথে পুরানো ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপিও দিতে পারেন। কারন পুরানটার নাম্বর পাসপোর্টে দেয়া থাকে যদি।

ইউটিলিটি বিল:

আপনার বর্তমান ঠিকানার বিদ্যুত বিলের একটা ফটোকপি দরকার হবে। ইউটিলিটি বিল খুব সম্ভবত নেয় আপনার বর্তমান ঠিকানা ভেরিফাই করার জন্য। তাই সবচেয়ে ভালো হয়, যদি বিলের ঠিকানাটাই ভিসার ফর্ম পুরন করার সময় ফর্মে দিয়ে দেন।পানি বা গ্যাসের বিল হলেও হয় তবে ঠিকানা থাকতে হবে বিলের উপর। আর সবচেয়ে সহজলভ্য মনেহয় বিদ্যুত বিলটাই।

বিল কিন্তু গত তিন মাসের মধ্যে হতে হবে। সবচেয়ে ভালো একেবারে রিসেন্ট মাসের বিলের কপি দেয়া। আর অবশ্যই পেইড বিলের কপি দিবেন।

বিল প্রিপেইড কার্ড সিস্টেম হলে কার্ডে যেখানে ঠিকানা লিখা আছে সেটাসহ সম্পুর্ন কার্ডের ফটোকপি দিবেন সাথে লাস্ট বিল জমা দেয়ার রশিদ দিতে পারলে ভাল হয়

ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ডলার এন্ডোর্সমেন্ট:

এখানে বেশ কয়টা অপশন আছে, একেকজনের জন্য একেক অপশন কনভিনিয়েন্ট। তাই সবগুলোই ব্যাখ্যা করবো।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট:

এটা সবচেয়ে সহজ। আপনার যদি একটা রেগুলার ব্যাংক একাউন্ট থাকে, তাহলে সেই একাউন্টের গত ছয় মাসের স্টেটমেন্ট ব্যাংক থেকে নিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্ট নেয়ার সময় ব্যাংকে কিছু টাকা থাকাটা ভালো (১৫০ ইউ এস ডলারের সমপরিমান টাকা থাকলেই হয়)।

আপনার সাথে যদি ডিপেন্ডেন্ট কেউ এপ্লিকেশন করে (স্ত্রী, সন্তান, বাবা, মা) একসাথে এপ্লাই করার সময় তাদের ভিসা এপ্লিকেশনের সাথেও এই সেইম স্টেটমেন্টের ফটোকপি দিতে হবে (যদি তাদের আলাদা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ডলার এন্ডোর্সমেন্ট না থাকে)। মুল কপি জমা দিতে হবে আপনার নিজের এপ্লিকেশনের সাথে। তবে আমার ক্ষেত্রে, আমার বাবা মা এপ্লাই করেছে পুরোপুরি আলাদা ভিসা ক্যাটাগরীতে, তাই তাদের জন্য আলাদা করে ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করাতে হয়েছে (একটু পরেই লিখছি এটা নিয়ে)। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ১৫ দিনের পুরানো হলে মাঝে মাঝে সমস্যা হয়।

ডলার এন্ডোর্সমেন্ট:

এনডোর্সমেন্ট আপনার বিদেশে গিয়ে বিদেশী মুদ্রা ব্যাবহার করার পারমিশন আর ডকুমেন্ট। পাসপোর্টের শেষের দিকের পেজগুলোতে একটা সিল দিয়ে সেটার উপর বৈদেশিক মুদ্রার পরিমান লিখে দেয়া থাকে। এটার নামই এন্ডের্সমেন্ট।

প্রথমেই একটা কথা বলা জরুরী: মানি এক্সচেঞ্জের ডলার এন্ডোর্সমেন্ট ভারতীয় ভিসার সাথে গ্রহন করেনা। যেকোন ব্যাংকের এন্ডোর্সমেন্ট হতে হয়। ভারতীয় ভিসার জন্য পাসপোর্টে অন্তত ১৫০ ইউ এস ডলার এনডোর্স করা থাকতে হয়। দুইভাবে আপনার পাসপোর্ট এনডোর্স করা যায়:

১। ক্যাশ ডলার এন্ডোর্স করা:

ক্যাশ ডলার এনডোর্স করতে গেলে ঝামেলার শেষ নাই। সব ব্যাংকের সব ব্রাঞ্চের করায়ও না। যেসব ব্রাঞ্চ AD (Authorized Dealer) ব্রাঞ্চ, সেগুলোতে শুধু করায় । আবার আলাদা ব্যাংকের রিকুয়ারমেন্ট আলাদা। বেশীভাগ ব্যাংকে আপনার একাউন্ট থাকতে হয়। অনেক ব্যাংক আবার ভিসা ফরম দেখতে চায়। সাথে কিছু এক্সট্রা টাকাও লাগে। ব্যাংকে গিয়ে টাকা দিয়ে ডলার কিনে সেই এমাউন্ট পাসপোর্টে এনডোর্স করে নিতে হয়।

ক্যাশ ডলার এনডোর্স করলে সাথে একটা ফরেন কারেন্সি সার্টিফিকেট দেয় ব্যাংক থেকে। পাসপোর্টের এনডের্সমেন্ট পেজের ফটোকপি, আর সাথে সেই ফরেন কারেন্সি সার্টিফিকেট (ডলার কেনার ডকুমেন্ট) ভিসা এপ্লিকেশনের সাথে জমা দিতে হয়।

 

২। ক্রেডিট কার্ড বা প্রিপেইড ট্রাভেল কার্ড এনডোর্স করা:

আপনার যদি কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড (ভিসা মাস্টারকার্ড বা এ্যামেক্স) থাকে। সেই কার্ডও এনডোর্স করে ফেলা যায়। আর কার্ড না থাকলে চাইলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে খুব সহজেই প্রিপেইড ট্রাভেল কার্ড নেয়া যায় (ইবিএল এর একুয়া বেশ পপুলার)। ডেবিট কার্ড (একাউন্ট থেকে টাকা তোলার কার্ড) কিন্তু কাজ করবে না।

কার্ড এনডোর্স করার জন্য পাসপোর্ট আর কার্ড নিয়ে সেই কার্ড ইশু করা ব্যাংকে যেতে হবে ( সব শাখায় কিন্তু এনডোর্স করেনা, শিওর হয়ে যাওয়া ভালো)। চেষ্টা করবেন বড় ব্রাঞ্চে যাওয়ার। সেখানে গিয়ে একটা ফর্ম পুরন করে ফর্মে এমাউন্ট লিখে দিবেন কত ডলারের জন্য এনডোর্স করতে চান (সার্ক দেশগুলোতে সর্বোচ্চ ৫০০০ ডলার আর নন সার্ক দেশে সর্বোচ্চ ৭০০০ ডলার) তবে লিমিট কিছুটা বাকী রাখবেন ক্যাশ ডলারের জন্য। সর্বনিম্ন ১৫০ ইউ এস ডলার এনডোর্স করতে হয় ভারতীয় ভিসার জন্য।

কার্ড এনডোর্স করলে পাসপোর্টের এন্ডোর্সমেন্ট পেজের ফটোকপি আর সাথে কার্ডের দুই পাশের ফটোকপি (অবশ্যই কার্ডের পিছনের তিন ডিজিট CVV নাম্বর কিছু দিয়ে লুকিয়ে রেখে) ভিসা এপ্লিকেশনের সাথে জমা দিতে হবে।

ডিপেন্ডেন্টের জন্য আপনার কার্ড একডোর্সমেন্টের কাগজগুলোর ফটোকপি দিতে হবে, যদি একসাথে এপ্লাই করেন।

পেশাগত প্রমানপত্র বা NOC, বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড বা ট্রেড লাইসেন্স :

কর্মক্ষেত্র থেকে নিতে হয় এই ডকুমেন্ট।যেই তথ্যগুলো থাকতেই হবে ডকুমেন্টে সেগুলো হল:

  • কর্মক্ষেত্রের ঠিকানা ও ফোন নাম্বর (অবশ্যই অফিশিয়াল প্যাডে হতে হবে)
  • সম্ভ্যাব্য ট্রাভেল ডেট
  • আইডি নাম্বর, জয়েনিং ডেট
  • পাসপোর্ট নাম্বর

আর উল্লেখ থাকতে হবে আপনি আপনার ট্রাভেল এর খরচ নিজে বহন করবেন।

স্টুডেন্ট আইডি বা ট্রেড লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সেগুলোর ফটোকপি দিতে হয়।

আপনার ডিপেন্ডেন্টদের ক্ষেত্রে একসাথে এপ্লাই করলে অফিস থেকে পাওয়া ডকুমেন্টটির এক কপি করে ফটোকপি জমা দিতে হবে।

[শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসার জন্য] ভারতীয় হাসপাতালের এ্যাপয়েন্টমেন্ট:

ভারতীয় অনেক হাসপাতালে অনলাইনে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া যায়। সেক্ষেত্রে আপনি যেই হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে চান, সেই হাসপাতালে অনলাইনে এ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া গেলে অনলাইনে নিয়ে নিন। অথবা তাদের ইমেইল এড্রেসে আপনার সমস্যা উল্লেখ করে মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট দিয়ে ইমেইল করলে তারা সাধারনত এ্যাপয়েন্টমেন্ট ইমেইলে পাঠিয়ে দেয়।

মেডিকেল এ্যাটেন্ডেন্ট ভিসার সাথেও এ্যাপয়েন্টমেন্টের একটি কপি জমা দিতে হয়।

[শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসার জন্য] মেডিকেল কাগজপত্র:

রোগীর মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট (সম্প্রতি করা দুই তিনটি), আর ডাক্তারের অবজারভেশন কাগজ ফটোকপি করে জমা দিতে হয়। আরো একটা কাগজ অনেক সময় দরকার হয়, যেটা পাওয়া একটু কঠিন, দেশের কোন ডাক্তাদের কাছে থেকে বিদেশে চিকিৎসা করার রিকোমেন্ডেশন নিতে হয় (লিখা থাকবে বিদেশে চিকিৎসা করার পরামর্ষ দিচ্ছেন)। রিকোমেন্ডেশন পাওয়া কঠিন হলে আপনার এ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়া হাসপাতালে রিকুয়েস্ট করলে ভিসা ইনভাইটেশন পাঠায়ে দেয়। মেডিকেল ডকুমেন্ট আর ইনভাইটেশন হলেও চলে।

মুল রিপোর্টগুলোও সাথে নিয়ে যেতে হয়, ওরা পাসপোর্টের সাথে নিয়ে রাখে, আবার পাসপোর্টের সাথেই ফেরত দিয়ে দেয়।

পাসপোর্টের ফটোকপি:

পাসপোর্টের সামনের দুই পেজ (জাতীয় সঙ্গীত যেই পেজে থাকে সেই পেজ, আর তথ্যযুক্ত পেজ) দুই পেজেরই ফটোকপি দিতে হয়। অনেক দেশ ভিসা রিজেক্ট করলে পাসপোর্টের প্রথম পেজে ছোট করে একটা সিল দিয়ে দেয়। সেটা দেখার জন্যই নেয়।

আপনি যদি আপনার পরিবারের অন্যকারো এপ্লিকেশন জমা দেন, প্রতিটার সাথে আপনার পাসপোর্টের এক কপি করে ফটোকপি দিতে হবে। আর পাসপোর্ট ফেরত নেয়ার সময় আপনার পাসপোর্ট দেখাতে হবে।

ফরম পুরন করা:

ভারতীয় ভিসার সাইট http://www.ivacbd.com/ এ গিয়ে ফরম পুরন করতে হবে। ফরমে বেশীভাগ তথ্য আপনার পাসপোর্ট থেকে দেখেই পুরন করতে পারবেন। বর্তমান ঠিকানা লিখবেন ইউটিলিটি বিলের ঠিকানা থেকে। সাথে আরো কিছু তথ্য দরকার হয়:

  • ভারতে সম্ভাব্য থাকার ঠিকানা, সেই যায়গার ফোন নাম্বর
  • ভারতে একজন রেফারেন্স এর নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বর
  • দেশের একজন রেফারেন্স এর নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বর
  • টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে: কিছু দর্শনীয় স্থান (যেখানে ঘুরতে যেতে চান) এর নাম
  • মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে ভারতের ডাক্তারের নাম, হাসপাতালের ঠিকানা আর ফোন নাম্বর (এ্যপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী)
  • মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে দেশের একজন ডাক্তারের নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বর (রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী, ইনভাইটেশন নিয়ে ভিসা করলে যে ডাক্তার দেখিয়েছেন দেশে, তার তথ্য)

যেই ছবিটি তুলেছেন সেইম ছবি ফরমের সাথে আপলোড করতে হয়, তাই অবশ্যই স্টুডিও থেকে ছবির সফট কপি নিবেন

ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ দিতে দেখেছি টুরিস্ট ভিসায় এক বছর মাল্টিপল এন্ট্রি, আর মেডিকেল ভিসায় ছয় মাস ট্রিপল এন্ট্রিভিসা ফরমে আপনার পছন্দমত সময় উল্লেখ করা যায়, সাধারনত মানুষ সর্বোচ্চ সময়ের জন্যই ভিসা নিয়ে থাকে।

ফরম পুরন করার সময় বেশ কয়েকটা স্টেপ থাকে, প্রথম স্টেপ পার হওয়ার পরেই একটা টেম্পোরারী এপ্লিকেশন আইডি দিবে, এই আইডি পাওয়ার সাথে সাথে কোথাও কপি করে রেখে দিবেন। ফরম পুরন করার সময় কোন সমস্যা হলে, বিদ্যুত চলে গেলে পরে এই আইডি দিয়ে অর্ধেক করা এপ্লিকেশন কমপ্লিট করা যায়।

একবার পুরন করা ফরম ৯ দিনের মধ্যে জমা দিতে হয়, এপ্লিকেশন টাইপ walk-in বেশীভাগ ক্ষেত্রে, আর কোন এ্যপয়েন্টমেন্ট দরকার হয়না

 

ভিসা ফি জমা দেয়া:

ভারতীয় ভিসা ফি ৮০০ টাকা, সাথে কিছু প্রোসেসিং ফি থাকে। ফরম পুরন করার পর পিডিএফ ফাইলে বারকোডের নীচে একটা ওয়েব ফাইল নাম্বর থাকে, এই নাম্বর নিয়ে পেমেন্ট করতে হয়। পেমেন্ট করার জন্য http://www.ivacbd.com/ এ সরাসরি ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পে করা যায়, অথবা সিটি ব্যাংকের সিটি টাচ অনলাইন ব্যাংকিং দিয়ে পে করা যায়।অথবা যেকোন ইউ ক্যাশ এজেন্ট এর কাছে গেলে পেমেন্ট করে দিবে।

পেমেন্ট করার তিন দিনের মধ্যে ভিসা ফরম ভিসা সেন্টারে জমা দিতে হয়, তাই সবচেয়ে ভালো হলো জমা দিতে যাওয়ার আগে আগে ভিসা ফি জমা দিয়ে তারপর ফরম জমা দিতে যাওয়া।

এপ্লিকেশন জমা দেয়া:

দেশে অনেকগুলো ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার আছে, আপনার কাছাকাছি ভিসা সেন্টার খুজে পেতে পারেন http://www.ivacbd.com/ ওয়েব সাইটে। সবগুলো কাগজ উপরের টেবিলে দেয়া লিস্টের ক্রম অনুযায়ী সাজিয়ে ফরমে এক কপি ছবি আঠা দিয়ে লাগিয়ে, ফর্মে দুই যায়গায় সাইন করে, স্ট্যাপলার করে পাসপোর্ট সহ জমা দিতে হয়। অন্যের ভিসা জমা দেয়ার ক্ষেত্রে জমা যিনি দিবেন, তার পাসপোর্ট সাথে থাকতে হয়, আর সাথে তার পাসপোর্টের একটা করে ফটোকপি জমা দিতে হয় (শুধুমাত্র স্ত্রী, সন্তান আর বাবা মায়ের পাসপোর্ট জমা দেয়া যায়)।

অন্য সবার পাসপোর্ট জমা দিয়ে সব শেষে নিজেরটা জমা দিতে হবে। নেয়ার সময় আবার নিজের পাসপোর্ট আগে ফেরত নিয়ে অন্যদেরটা নিতে হবে। আপনার পাসপোর্ট ছাড়া অন্যদের পাসপোর্ট নিতে পারবেন না।

মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে ৫ দিন আর টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ৭ দিন সময় লাগে সাধারনত ভিসা পেতে।মাঝে মাঝে দেরী হতে পারে, তাই হাতে একটু বেশী সময় নিয়ে ভিসা এপ্লিকেশন করা ভালো।

সব সময়ের আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুনঃ ? The Next Web BD


ভারতের ভিসা করার নিয়ম,ভারতের ভিসা করতে কত টাকা লাগে,ভারতের ভিসার আবেদন,ভারতের ভিসা চেক,ভারতের ভিসা প্রসেসিং,ভারতের ভিসা আবেদন,ভারতের ভিসা আবেদন করার নিয়ম,ভারতের ভিসা আবেদন ফরম,ভারত ভিসা আবেদন,ভারতের ভিসার আবেদন ফরম,ভারত ভিসার আবেদন,ভারতের ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়,
ভারতের ভিসা করতে কি কি লাগে,ভারত ভিসা কত টাকা,ভারতের কাজের ভিসা,ভারতের চিকিৎসা ভিসা,ভারতে চিকিৎসা ভিসা,
ভারতের ভিসার জন্য কি কি লাগবে,ভারতের ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,ভারতের ভিসার জন্য,ভারতে জব ভিসা,ভারতের ট্রানজিট ভিসা,ভারতের টুরিস্ট ভিসা,ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা,ভারত ট্রানজিট ভিসা,ভারত টুরিস্ট ভিসা,ভারতের ভিসা কত টাকা,ভারতের ভিসার নতুন নিয়ম,ভারত ভিসা প্রসেসিং,ভারতের ভিসা কিভাবে প্রসেস করবেন,ভারতের ভিসা ফরম,
ভারত ভিসা ফরম,ভারত ভিসা ফি,ভারতের বিজনেস ভিসা,ভারতের ব্যবসা ভিসা,ভারতের ভ্রমন ভিসা,ভারত ভিজিট ভিসা,ভারতের ভিসার মেয়াদ,ভারতের ভিসার মূল্য,ভারতের মেডিকেল ভিসা,ভারতের মাল্টিপল ভিসা,ভারতে মেডিকেল ভিসা,
ভারত যাওয়ার ভিসা,ভারতে যেতে ভিসা লাগে না,ভারতের ভিসা পেতে কতদিন লাগে,ভারতের শিক্ষা ভিসা,ভারতের স্টুডেন্ট ভিসা,bd next web,বিডি নেক্সট ওয়েব,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *