মুসলিম আইন অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তি বন্টন কিভাবে হয়? জানুন

আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “উত্তরাধিকার আইন নিজে জানুন এবং অন্যকে শেখান, সমস্ত জ্ঞানের অর্ধেক এই জ্ঞান”। মুসলিম হাওয়া সত্ত্বেও উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা কম। কারন আমরা ভাবিনা সম্পত্তি বন্টনের ব্যাপারে। প্রত্যেক মুসলিমের এটা জানা অতি প্রয়োজন তাই চলুন জেনে আসি মুসলিম আইন অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তি বন্টন কিভাবে হয় সে সম্পর্কে কিছু তথ্য।

মুসলিম আইন অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তি বন্টন

মুসলিম আইন অনুযায়ী মায়ের সম্পত্তি বন্টন

মায়ের সম্পত্তিঃ মা তাঁর মৃত সন্তানের সম্পত্তি ৩ ভাবে পেয়ে থাকে।মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি যদি জীবিত থাকে অথবা যদি মৃত ব্যক্তির আপন, পূর্ণ বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় ভাইবোন থাকলে তবে মাতা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন। অর্থাৎ, যখন মৃত ব্যক্তির একটি সন্তান থাকে বা মৃত ব্যক্তির একটি পুত্র থাকে বা মৃত ব্যক্তির দুই বা ততোধিক ভাইবোন থাকে, তখন মৃতের মা মোট সম্পত্তির ১৬% পাবেন। তবে, যখন মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান না থাকে বা মৃত ব্যক্তির পুত্রের কোন সন্তান না থাকে বা ভাইবোনের সংখ্যা একের বেশি না হয়, তখন মা পাবে ১/৩ ভাগ।

আবার, যখন মৃত ব্যক্তির পিতা এবং স্বামী স্ত্রী জীবিত তখন স্বামী বা স্ত্রীকে দেওয়ার পর বাকী সম্পত্তির ১/৩ পাবেন।  অর্থাৎ, মৃত ব্যক্তির পিতা এবং তার জীবনসঙ্গী (স্ত্রী যদি স্ত্রী/স্বামী যদি স্ত্রী) জীবিত থাকে, তখন সম্পত্তিটি প্রথমে জীবনসঙ্গীকে দিতে হবে এবং তাকে দেওয়ার পর সম্পত্তির ১/৩ ভাগ মাকে দেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে এটা মোট সম্পত্তির ১/৩ ভাগ নয় বরং স্বামী বা স্ত্রীকে দেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তির ৩ ভাগ।

মায়ের সম্পত্তির ভাগ ছেলে-মেয়েরঃ মৃত ব্যক্তি পুরুষ অথবা নারী যিনিই হোন না কেন, তার সম্পত্তিতে ছেলে মেয়ে একইভাবে সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন। মৃত ব্যক্তির যদি সন্তান থাকে তবে স্বামী পাবে এক চতুর্থাংশ। এই সম্পত্তি স্বামীকে দেওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি ছেলে মেয়ের মধ্যে বাটোয়ারা হবে। ছেলেরা মৃতের উপরে সকল ক্ষেত্রেই সম্পদ পেয়ে থাকে, মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ক্ষেত্রে সকলের অংশ ভাগের পর অবশিষ্ট সকল অংশ ছেলে এবং মেয়ে পাবে। তবে এই ক্ষেত্রে ছেলে সম্পদে যে পরিমাণ অংশ পায় মেয়েরা সম্পদের উপরে ছেলের অর্ধেক পরিমাণ পাবে। যদি মেয়ে না থাকে তবে বাকী সম্পূর্ণ অংশ ছেলে পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *