দেশের প্রত্যেকটি জেলায় রয়েছে নিজস্ব কিছু খাবার,যে গুলোর সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। এর মধ্যেও ব্যতিক্রম নয় যশোর জেলাটিও। বাংলাদেশের সারা জেলার মত বৃহত্তর যশোর জেলায় রয়েছে কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার। এগুলোর নামও কম বিচিত্র নয়। অন্য জেলার মানুষ এখানে এলে যেগুলো চোখে লাগা স্বাভাবিক। তেমন কয়েকটি খাবারের নাম চোঁই ঝাল, চাপাতি, খাসি ও মুরগির মাংসের লটপটি। যশোরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে যতটা জানতে পেরেছি, সে অনুযায়ী প্রথমে চোঁইয়ের একটি বর্ণনা দেওয়া সমীচীন হবে বলে মনে করছি। তাহলে চলুন জেনে আসি যশোর জেলার বিখ্যাত খাবার সম্পর্কে কিছু তথ্য;
যশোর জেলার বিখ্যাত খাবার
আজ আমি আপনাদেরকে “যশোরের” কিছু বিখ্যাত খাবার এর তথ্য দিবো। যশোর খুব ছিমছাম ছোট একটি শহর, এখানের খেজুরের গুর অনেক বিখ্যাত, এছাড়া যশোর গেলে মাস্ট ট্রাই করবেন এরকম কিছু খাবার হচ্ছে,
১/ চার খাম্বার মোড়ের “জনি কাবাব” দোকানের কাবাব , ফ্রাই, চাপ এবং লুচি। ঢাকার অনেক বিখ্যাত চাপ/কাবাব এর দোকানের চেয়েও ভালো কাবাব/চাপ পাওয়া যায় এখানে, আর এই দোকানের মালিক, জনি ভাইয়ের ব্যাবহার ও ভীষন আন্তরিক। আমরা ২পিস গরুর চাপ, ২ পিস, চিকেন শিক কাবাব, একটা কয়েল ফ্রাই, ১৫টার মত লুচি এবং পানীয় নিয়েছিলাম। বিল এসেছিলো মাত্র ৫৫০ টাকার মতো। টেস্ট ৮.৫/১০ পরিবেশ ৮/১০ দেওয়া যায়।
২/ ধর্মতলার মালাই চা। সে এক অসাধারণ জিনিস, এই চা বানানোর পক্রিয়াটাও দেখার মতো, আর স্বাদ এর কথা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব না। হিম হিম ঠাণ্ডার মধ্যে এই চা খেতে পারলে, অন্যরকম এক ভালো লাগায় আবিষ্ট হবেন। দাম মাত্র ২০ টাকা। টেস্ট ৯/১০ দেওয়া যায়।
৩/ কোট কাচারির বিপরীতে একটি মিষ্টির দোকান আছে। এখানে হরেক রকম মজাদার মিষ্টি পাওয়া যায়,দাম ও রিজেনেবল। টেস্ট ৮/১০ দেওয়া যায়।
৪/ আর এছাড়া চুক নগরের চুই ঝাল ও অনেক বিখ্যাত। যশোরে আসলে কোও এটা ইচ করবেন না। কারন এই খাবারে অসাধারন সাধ। ২৭ বছর আগে আব্বাস আলী মোড়লের মৃত্যু হলে হোটেলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ছেলেরা। সহকর্মী সঙ্গে থাকলেও আব্বাস আলীর তিন ছেলে আবদুল জলিল মোড়ল, আবদুল হালিম মোড়ল ও মো. সেলিম মোড়ল পালাক্রমে মূল রান্নার কাজে অংশ নেন। এখন তিন ভাইয়ের সন্তানেরাও এসেছে হোটেল পরিচালনায়। চুকনগর বাজারের মূল রেস্টুরেন্টের বিপরীতে আছে ‘আব্বাস হোটেলে’–এর আরও একটি শাখা। এ ছাড়া খুলনা জিরো পয়েন্টেও আছে আর একটি শাখা। মোট তিনটি শাখায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতিদিন খাবার খেতে পারবেন। শুধু দুই ঈদে পাঁচ দিন করে বন্ধ থাকে হোটেলটি। এখানে মাংস বিক্রি হয় পিস হিসেবে। প্রতি পিস মাংস ১২৫ টাকা, ভাত প্রথমবার ১৫ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি বাটি ভাতের জন্য গুনতে হবে ১০ টাকা করে।
৫/ জামতলার মিষ্টি যশোরের বিখ্যাত মিষ্টির দোকান এখানে নাম করা মিষ্টি পাওয়া যাই। একটা মিষ্টি খেলে মুখে লেগে থাকে। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে জামতলার রসগোল্লা বা সাদেক গোল্লা দেশ ও দেশের বাহিরে নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে যশোরের এই জামতলার মিষ্টি। আমরা সুদুর যশোর থেকে এই ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লা সংগ্রহ করে ডেলিভারি দিয়ে থাকি। ১৯৫৫ সালে চায়ের দোকানদার মরহুম শেখ সাদেক আলী প্রথম এই মিষ্টি তৈরি শুরু করেন। এজন্যই তার নাম অনুসারে এই মিষ্টির নাম সাদেক গোল্লা রাখা হয়েছে। এখান কার রসগোল্লা দাম মাত্র ২০ টাকা থেকে শুরু। টেস্ট ৯/১০ দেওয়া যায়।
যশোরের বিখ্যাত খাবার হোটেল, যশোরের বিখ্যাত খাবার, যশোরের বিখ্যাত খাবার কি, যশোর এর বিখ্যাত খাবার, যশোর জেলার বিখ্যাত খাবার,