সিটি ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে পরিচিত। সিটি ব্যাংক আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৩ সালের ২৭ শে মার্চ তার কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত। বর্তমানে সারা দেশে এই ব্যাংকের মোট ১৩০ টি শাখা এবং ৩৬৯ টি এটিএম বুথ আছে। বর্তমান এটিএম কার্ডের সংখ্যা ১০ লাখের অধিক রয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যাংকটির নতুন লোগও উন্মোচন, আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ড, ব্রোকারেজ ব্যবসা ও সিটি ওয়ালেট (এসএমএস ব্যাংকিং) সেবা চালু করা হয়। এছাড়া নামটি সহজীকরণের জন্য “দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড” থেকে “সিটি ব্যাংক”-এ পরিবর্তন করা হয়। সিটি ব্যাংক তার গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যাংকটি তাদের আশা পূরণ করতে এবং তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সহায়তা করে আরও অনেক কিছু করতে আগ্রহী। আপনি যদি এমন আরো ব্যাংকের তথ্য পেতে চান তা হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম
অনলাইন আবেদন: সিটি ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। আপনি যে ধরণের ক্রেডিট কার্ড করতে চান সে ক্রেডিট কার্ডটি বৈশিষ্ট্যগুলি ভালো ভাবে জানুন। তারপর আপনি সেই কার্ডটির জন্য অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদন করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করুন তার পর সাবমিট করুন। তখন আপনার নিবন্ধিত মোবাইল ফোনে একটি ওটিপি প্রেরণ করা হবে। ওই নিবন্ধন স্থানে ওটিপি ব্যবহার করুন, আপনার ব্যক্তিগত বিবরণ লিখুন , হয়ে গেল আপনার সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আবেদন করা।
অফলাইন আবেদন: অফলাইনে আবেদন করতে চাইলে প্রথমে আপনি আপনার নিকটস্থ সিটি ব্যাংকে গিয়ে, ক্রেডিট কার্ডের প্রতিনিধির সাথে কথা বলে আপনি অফলাইনে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। ব্যাংকের প্রতিনিধি আপনাকে আবেদনটি সম্পূর্ণ করতে এবং সকল কার্ড সম্পর্কে বিস্তারিত বলবে। আপনি উপযুক্ত কার্ড পছন্দ করুন এবং নির্ধারিত কার্ডের জন্য আবেদন করুন। আবেদন করতে যে সকল তথ্য ও কাগজ পত্র প্রয়োজন তাহল
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- টিআইএন সার্টিফিকেট
- চাকরিজীবির ক্ষেত্রে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার বা স্যালারি সার্টিফিকেট এবং ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স, Memorandum of Association ৩ মাসের ব্যাংক ট্রানজেকশন স্টেটমেন্ট
- আপনার ফিক্সড ডিপোজিট থাকলে তারা রশিদ
সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সমূহঃ
সিটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড এর আধ্যমে বিভিন্ন ধরণের সেবা দিয়ে থাকে। চলুন জেনে আসি সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড নাম সমূহ;
(১) সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস প্ল্যাটিনাম ক্রেডিট কার্ড,
(২) সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস গোল্ড ক্রেডিট কার্ড,
(৩) সিটি ব্যাংক আমেরিকান এক্সপ্রেস গ্রীন ব্লু ক্রেডিট কার্ড,
(৪) সিটি ব্যাংক আগোরা আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ড,
(৫) সিটি ব্যাংক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান এক্সপ্রেস ক্রেডিট কার্ড,
(৬) সিটি ব্যাংক ভিসা প্ল্যাটিনাম কার্ড।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা
ক্রেডিট কার্ডের বিভিন্ন ধরণের সুবিধা রয়েছে, চলুন সেই সুবিধা সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।
১) আমাদের নগদ টাকা অনেক সময় চুরি, ডাকাতি, পকেটমারির সংকটের ভিতর পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
২) ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে, যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে কেনাকাটা করা যায়।
৩) বিভিন্ন রকম বিল, ফিস পেমেণ্ট করার জন্য, নগদ টাকা নিয়ে বেরোনোর দরকারই নেই, ঘরে বসেই এসব করা যায়।
৪) জরুরী প্রয়োজনে, নিজের হাতে টাকা না থাকলেও, তখন ক্রেডিট কার্ডের লিমিটকে কাজে লাগিয়ে, সে প্রয়োজন মেটানোর যায়।
৫) নগদ টাকা হারিয়ে গেলে, ফেরত্ পাওয়ার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ, ক্রেডিট কার্ড হারিয়ে গেলে, সাথে সাথে কার্ডকে ব্লক করে দেয়া যায়, তাতে আপনার টাকা হারানোর ঝুকি কম থাকে।
৬) ক্রেডিট কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে, সিষ্টেম এর রেকর্ড থেকে বের করা যায়, কিভাবে, কোথায়, কেমন করে জালিয়াতি হয়েছে। আই পি ট্র্যাক করে, জালিয়াতকেও চিহ্নিত করা যায়।
৭) আপনি একটি অফারের ক্রেডিট কার্ড নিয়েছেন। কার্ডটি ব্যবহারে ঋণের বোঝা বেশি মনে হলে এটি পরিবর্তন করে অন্য অফারের কার্ড নেওয়া যায়।
সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম, সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, ইবিএল ক্রেডিট কার্ড, সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম, সিটি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সুবিধা,
গুড সাভিস সিটি ব্যাংক
আসসালামু আলাইকুম স্যার,
আমি সিটি ব্যাংক থেকে Credit Card নিতে চাচ্ছি। আমি একজন সরকারি চাকরিজিবী ।বর্তমানে চট্টগ্রাম এ কর্মরত আছি। অনুগ্রহপূর্বক যদি যোগাযোগের মাধ্যম কি জানতে পারি তাহলে উপকৃত হব।
+88-02-8331040 অথবা 16234 এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।