প্রতিটি দেশের ৪র্থ ভাগ লোক স্ট্রোক রোগে মারা যায় এবং ৩য় ভাগ লোক অসুস্থ হয়ে থাকে । প্রতিটা দেশের একটি বড় সমস্যা হল এই স্ট্রোক।স্ট্রোক দেহের অন্য় কোন রোগ না, এটি মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের রক্ত নালী দুর্বল হয়ে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেয় এবং কোষ গুলো নষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা দেখা দেয় আর এটি হল স্ট্রোক।গবেষণা করে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন।আমাদের সামনে যে কেউ যখন তখন স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তিটিকে দ্রুত হাসপাতাল বা ডাক্তারের কাছে তাৎক্ষণিভাবে নেওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আমরা আক্রান্ত ব্যাক্তিকে স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারি।
স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা
মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয় বা মস্তিষ্কে রক্তপাত হয় যখন তখন তাকে স্ট্রোক বলে।
সাধারন স্ট্রোক দুই ধরনের হয়ে থাকে,
রক্তের জমাট বাঁধা দ্বারা মস্তিষ্কের ধমনীগুলি ব্লক হয়ে গেলে একটি ইস্কেমিক স্ট্রোক হয়। আপনার ধমনীতে প্লেক তৈরির কারণে অনেক ইস্কেমিক স্ট্রোক হয়। যদি মস্তিস্কের একটি ধমনীর মধ্যে একটি জমাট বাঁধার সৃষ্টি করে তবে এটিকে থ্রোমোটিক স্ট্রোক বলা হয়। আপনার দেহের অন্য কোথাও গঠন হওয়া এবং মস্তিষ্কে ভ্রমণ করা ক্লটগুলি এম্বোলিক স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।
মস্তিষ্কের একটি রক্তনালী ফেটে এবং রক্তপাত হয় তখন তাকে রক্তক্ষরণ স্ট্রোক বলে।
একটি স্ট্রোক ভারসাম্য হ্রাস বা অজ্ঞান হতে পারে যা একটি জীবনের পতন হতে পারে।জরুরি পরিষেবাগুলিতে কল করুন। যদি আপনার স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেয় তবে অন্য কাউকে ফোন করুন। জরুরি সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করার সময় যতটা সম্ভব শান্ত থাকুন।যদি আপনি অন্য কারও স্ট্রোকের যত্ন নিয়ে থাকেন তবে নিশ্চিত হন যে তারা নিরাপদ, আরামদায়ক অবস্থানে আছেন। সাধারণত, মাথাটি কিছুটা উপরে উঠানো এবং বমি হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একদিকে থাকা উচিত।তারা নিঃশ্বাস ফেলছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন। যদি তারা শ্বাস নিচ্ছে না, সিপিআর করুন। যদি তাদের শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে পোশাক আলগা করুন।শান্ত, আশ্বাসজনকভাবে কথা বলুন।গরম রাখার জন্য কম্বল দিয়ে দিন।তাদের খাওয়া বা পান করার কিছু দেবেন না।যদি ব্যক্তি কোনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে কোনও দুর্বলতা দেখায় তবে সেগুলি ম্যাসেস করতে থাকুন।অবস্থার যে কোনও পরিবর্তনের জন্য ব্যক্তিকে সাবধানে পর্যবেক্ষণ করুন।তার পর নিম্ন পদক্ষেপ গুলি প্রয়োগ করতে পারেন
- প্রথম কাজ হবে ওই ব্যক্তির বিশ্রামের ব্যবস্থা করা।
- রোগীকে সরানো বা নড়াচড়া করানো যাবে না। কারণ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বিস্ফোরিত হতে পারে।
- একটি সুচ সংগ্রহ করতে হবে তারপর সুচটি জীবানুমুক্ত করতে হবে, সুচ দিয়ে রোগীর হাতের ১০টি আঙুলের ডগার নরম অংশে ছোট ক্ষত বা ছিদ্র করতে হবে।এমনভাবে করতে হবে যাতে প্রতিটি আঙুল থেকে রক্তপাত হয়।ভালোভাবে খেয়াল রাখুন যাতে আঙুল থেকে যেন রক্ত ঝরে।এরপর কয়েক মিনিট পর দেখবেন রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে।
- যদি স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ বিকৃত হয় তাহলে তার কানে ম্যাসেজ করতে হবে। এমনভাবে ম্যাসেজ করতে হবে যাতে রোগীর কান লাল হয়ে যায়। লাল হলে বুঝতে হবে কানে রক্ত পৌঁছেছে।
- স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তির দুই কান থেকে দুই ফোঁটা রক্ত পড়ার জন্য কানের নরম অংশে সুচ ফুঁটাতে হবে। কয়েক মিনিট পর দেখবেন মুখ আর বিকৃত হবে না।
স্ট্রোকের চিকিৎসা ,স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা ,স্ট্রোক রোগীর চিকিৎসা,ব্রেইন স্ট্রোক চিকিৎসা , স্ট্রোক পরবর্তী চিকিৎসা ,স্ট্রোক এর চিকিৎসা ,স্ট্রোক রোগের চিকিৎসা ,হার্ট স্ট্রোক চিকিৎসা ,স্ট্রোক কত প্রকার ,স্ট্রোক রোগীর চিকিৎসা ,স্ট্রোক হলে করণীয় ,স্ট্রোকের রোগীর পরিচর্যা ,স্ট্রোক কি ,স্ট্রোক এবং ,স্ট্রোক কেন হয় ,স্ট্রোক হলে করনীয় ,