বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ

মোবাইল ব্যাংকিং হ’ল একটি ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত একটি পরিষেবা যা গ্রাহককে স্মার্টফোন বা একটি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে দূর থেকে আর্থি বা টাকা লেনদেন করার একটি পদ্ধতি। মোবাইল ব্যাংকিং শুধু টাকা পাঠানো নয় এখন আপনাকে অন-লাইন কোন কিছু ক্রয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে যেমন; ঘরে বসে টাকা আদান-প্রদান, ঘরে বসে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ঘরে বসে বিভিন্ন বিল প্রদান, মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি প্রদান করার সুবিধ দিয়ে থাকে। আর মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে ব্যাংকিং এর সার্ভিস গুলো অ্যাক্সেস করার সুযোগ পারবেন। আমাদের  দেশে অনেক ধরনে মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে তাই দেরি না করে চলুন জেন আসি বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ সম্পর্কে কিছু তথ্য।

বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ

আমাদের দেশে অনেক ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং রয়েছে তারা বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে। তাই মোবাইল ব্যাংকিং, সেবা ও ব্যাংকের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  1. বিকাশ – ব্রাক ব্যাংক
  2. নগদ – ডাক বিভাগ
  3. রকেট – ডাচ-বাংলা ব্যাংক
  4. শিওর ক্যাশ – রূপালি ব্যাংক
  5.  রেডি-ক্যাশ – জনতা ব্যাংক
  6. টি-ক্যাশ – ট্রাস্ট ব্যাংক
  7.  ইউ ক্যাশ – ইউসিবি ব্যাংক
  8. মাই ক্যাশ – মার্কেন্টাইন ব্যাংক
  9. এজেন্ট ব্যাংকিং – ব্যাংক এশিয়া
  10. পল্লী লেনদেন – পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
  11. টেলি-ক্যাশ – সাউথ ইস্ট ব্যাংক
  12. পি-মানি – প্রিমিয়ার ব্যাংক
  13. এম ক্যাশ – ইসলামী ব্যাংক
  14. ইসলামিক ওয়ালেট – আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক
  15.  Tap n Pay – মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড
  16. আই ব্যাংকিং- এবি ব্যাংক
  17. Ok wallet – one bank
  18. আমার একাউন্ট- IFIC bank
  19. City Touch – city bank
  20. Just Pay – Jamuna Bank
  21. Skybanking – Eastern Bank
  22. DBL GO – Dhaka Bank Lt.

 

বিকাশঃ

বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক টাকা স্থানান্তর বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ২০১১ সালে বিকাশের যাত্রা শুরু করেন। গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোন থেকে *২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ সেবা পেতে পারেন। অর্থ প্রেরণ, মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, ক্যাশ আউট, পে বিল, ব্যালেন্স চেকিং ইত্যাদি সেবা গুলো আপনি পাবেন।

নগদঃ

নগদ বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ভিত্তিক টাকা স্থানান্তর বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ডাক বিভাগ কর্তিক ১১ নভেম্বর ২০১৮ সালে নগদের যাত্রা শুরু কর। নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে একজন গ্রাহক দেশের যে কোনো স্থান থেকে নিজের মোবাইলে অর্থ জমা, উত্তোলন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তর সহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ করতে পারেন।

রকেটঃ

রকেট ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ভিত্তিক টাকা স্থানান্তর বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবে পরিচিত লাভ করে রকেট। এর মাধ্যমে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, বেতন বিতরণ, বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রহণ, সরকারী ভাতা বিতরণ, এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ইত্যাদি সব সেবা পাওয়া যায়।

শিওর ক্যাশঃ

রূপালি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং শাখাকে শিওর ক্যাশ বলা হয়। শিওর ক্যাশ রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৪ সালের শিওর ক্যাশ বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। শিওর ক্যাশ মোবাইল ডিভাইস ভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দান কারী প্রতিষ্ঠান। শিওর ক্যাশ এর মাধ্যমে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, বেতন বিতরণ,সরকারী ভাতা বিতরণ, এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ইত্যাদি সব সেবা পাওয়া যায়।

রেডি-ক্যাশঃ

রেডি-ক্যাশ জনতা ব্যাংক লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। জনতা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং শাখাকে রেডি-ক্যাশ বলা হয়।

টি-ক্যাশঃ 

টি-ক্যাশ’ মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড।  ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড ২০১৮ সালে টি ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে। টি ক্যাশের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন, নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা দেওয়া, ফান্ড ট্রান্সফার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ও অন্য ফি জমা দেওয়া, সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীতে নিয়োগ ফি দেওয়া যাবে। এছাড়াও পাসপোর্ট ফি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফি, ফরেন রেমিটেন্স ও বেতন বিতরণ এবং অনলাইনে মার্চেন্ট পেমেন্ট করা যাবে এ সার্ভিসে।

 ইউ ক্যাশঃ 

ইউসিবি ব্যাংক নভেম্বর ২০১৩ সালে ইউ ক্যাশ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। ইউসিবি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং শাখাকে  ইউ ক্যাশ বলে। এটি একটি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। ইউ ক্যাশ তাদের ব্যাংকের সকল সেবা প্রদান করে থাকে।

 


মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটরের নাম, মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটর, মোবাইল ব্যাংকিং আপডেট তথ্য,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *