Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায় – ফাইবার টিপস পর্ব ০১

ফাইবাররে কাজ করতে গেলে আপনার আগে জানতে হবে ফাইভার কি?

Fiverr : ফাইবার হচ্ছে  এমন একটি বেচা কেনা করার মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন আর একজন বায়ার সেটি আপনার কাছ থেকে কিনবে। যেহেতু এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সেহেতু আপনি এখানে অনলাইন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা বিক্রি করে থাকবেন।খানে সেলার কোন একটি কাজের জন্য গিগ তৈরী করে। ওই গিগটি যদি কোন বায়ারের দরকার হয় তাহলে গিগটা সে কিনবে। এভাবে ফাইভারে গিগ তৈরী করে আয় করা যায়। ফাইভার হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস। এখানে সার্ভিসেস কিনা বেচা হয়। প্রত্যেক সার্ভিসের মূল্য কমপক্ষে ৫ ডলার। যেহেতু এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সেহেতু এখানে অনলাইন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা বিক্রি করা হয়। ফাইভার এ যে কোন ধরনের সেবা দিয়ে গিগ তৈরি করা যেতে পারে। সেটা হতে পারে একাউন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে সেই একাউন্টকে কম্পিলিট করা পর্যন্ত।

Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়

Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়

ফাইবারের সাধারণত অনেক ধরণের কাজ  থাকে।তার মধ্যে যে কাজ গুলো বেশী থাকে সেগুলো তুলে ধরলামঃ

১।Virtual Assistant

২।Transcription

৩।Video Editing

৪।Article/content writing

৫।Editing and Proofreading

৬।SEO optimization

৭।Marketing

৮।Programming

৯।Web design

১০।Advertising

১১।Palm reading

১২।Song writing

১৩।Poetry

 

ফাইভারে কাজ পাওয়ার ধাপ সমূহঃ

প্রথমত একটি ফাইভার একাউন্ট থাকতে হবে। ফাইভারে কখনো ব্যক্তিগত কোনো তথ্য দেয়া যাবেনা। কোনো ওয়ার্কার সরাসরি বায়ারের সাথে যোগাযোগ করুক ফইভার তা কখনই চায়না। ফাইভারের সকল নিয়ম মেনে যেসব কাজে দক্ষ সেসব কাজের উপর আকর্ষনীয় গিগ তৈরী করতে হবে। সঠিক নিয়মে গিগ তৈরী করা থাকলে ফাইভার নিজেই গিগ মার্কটিং করবে। কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বায়ারের কাছ থেকে রিকুয়েষ্ট আসবে এবং তার সঠিক রিপ্লাই দিতে হবে। গিগ পছন্দ হলে বায়ার কাজ দিবে। কাজ এর বিষয় সবকিছু বায়ারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। এরপর কাজ সম্পূর্ন করে বায়ারের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলেই কাঙ্খিত মূল্য পাওয়া যাবে। তারপর আয়ের টাকা ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে।

ফাইভার সেলার একাউন্ট সাধারনত ৩ টি লেভেল এর হয়ে থাকে:

লেভেল ১ সেলার: যেসব সেলার কমপক্ষে ১০ বার বা তার বেশি সার্ভিসটির অর্ডার পেয়ে কাজ শেষ করে বায়ারকে দিতে পারবে এবং বায়ার এর নিকট থেকে ১০ বার ভালো রেটিং পাবে তহলে ঐ সার্ভিসটির সেলার অটোমেটিক্যালি Level 1 এ চলে আসবে এবং Advanced services অফার করার সুযোগ পাবে এবং আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

লেভেল ২ সেলার: যেসব সেলার পূর্ববর্তী ২ মাসে ৫০ বারের বেশি ভাল রেটিং এবং ট্রাক সহকারে বায়ারকে সার্ভিস দিতে পারবে, সেসব সেলার স্বয়ংক্রিয়ভাবে Level 2 পদ অর্জন করবে। এ লেভেলে অনেক বেশি ফিচার যুক্ত হবে ও প্রায়োরিটি সাপোর্ট পাবে এবং আয়ও বেড়ে যাবে।

টপ রেটেড সেলার: টপ রেটেড লেভেলের ‍সেলার নির্ধারিত হয় ফাইভার সাইট কতৃপক্ষের বাছাইয়ের মাধ্যমে। ফাইভার সাইট কতৃপক্ষ লেভেল ২ সেলারদের মাঝে থেকে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে টপ রেটেড সেলার নির্ধারণ করে থাকে।

গিগ কিভাবে সাজালে অর্ডার পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকবে:

টাইটেল: একজন বায়ার এর নজরে সর্ব প্রথম যে বিষয়টি আসে তাহলো গিগ এর টাইটেল। তাই টাইটেলটা এট্রাক্টিভ করে ক্লিয়ার করতে হবে কি ধরনের সার্ভিস দেওয়া হবে। বায়ার যেহেতু টাইটেল এর উপর দৃষ্টি রাখেন, তাই টাইটেল এ যথাসম্ভব গিগ এর কিওয়ার্ডগুলো লেখার চেষ্ট করা। তাহলে বায়ার সহজে গিগটি বুঝতে পারবেন।

ছবি: গিগে অফার রিলেটেড সুন্দর একটি ছবি আপলোড করতে হবে যা গিগটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে । গিগে সংশ্লিষ্ট একাধিক ছবি/ভিডিও অফারটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। একটি কার্যকরী ছবি/ভিডিও অনেক বর্ণনারে চেয়েও ভাল। সুতরাং অফারের সাথে যে ছবি/ভিডিও সংযুক্ত করা হবে সেটি গুরুত্বের সাথে নির্বাচন করতে হবে।

ড্রেস্ক্রিপশন: ড্রেস্ক্রিপশনটি সুন্দর করে লিখতে হবে। ডেস্ক্রিপশনটি শর্ট হবে কিন্তু তার মধ্যেই অফারটি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তাহলে বায়ার সার্ভিসটি কেনার ব্যপারে বেশি প্রাধান্য দিবেন। গিগের বর্ণনা তারাই পড়বে যারা টাইটেল এবং ছবি দেখে আগ্রহী হয়ে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করবে। সুতরাং বিবরণটি এমনভাবে লিখতে হবে যেন বায়ার গিগ কেনার জন্য ইমপ্রেস হন।

অনলাইন এ কখন থাকলে কাজ পাওয়া সম্ভবনা বেশী:

রাতে অনলাইনে থাকলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট USA এর সুতরাং timezone অনুসারে আমাদের এখানে যখন রাত তখন USAতে দিন, তাই রাতে অনলাইনে থাকলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দিনে পাওয়া যায় না এমন না, দিন ও অন্যান্য দেশের Client পাওয়া যাবে। সকালে বেশিরভাগ Client Knock করে থাকে যারা অফিসের বাইরে পার্সোনালি কাজ করিয়ে নেয়। সাধারনত মাঝরাত থেকে সকালের দিকে একটিভ থাকলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি ।

ফাইভারের পেমেন্ট মেথড:

ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার চার্জ হিসেবে কেটে নিবে অর্থাৎ ৫ ডলার ইনকাম করলে পাওয়া যাবে ৪ ডলার করে। প্রতিটি কাজ বায়ারের কমপ্লিট ঘোষণা দেয়ার ১৫ দিন পরে টাকা উত্তোলন করা যাবে। ফাইভার থেকে বাংলাদেশে সাধারণত পাইওনিয়ার কার্ড দ্বারা টাকা উঠানো যায়। পাইওনিয়ার ডেবিটকার্ডের মাধ্যমে ফাইভার থেকে আয় করা অর্থ সরাসরি এটিএম বুথের মাধ্যমে উঠানো যায়। তাছাড়া ফাইভারে সরাসরি ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট যুক্ত করে টাকা উত্তোলন করা যায়।

ফাইভারে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার:

১) কাজের অর্ডার পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দিতে না পারলে এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।

২) অন্যের গিগ থেকে নকল করে নিজের গিগ তৈরি করলে সেই এ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে।

৩) একটা পেপাল এ্যাকাউন্ট কিংবা পাইওনিয়ার এ্যাকাউন্ট যদি একাধিক ফাইভার এ্যাকাউন্ট এ যুক্ত থাকে সেটার জন্য বিপদ হতে পারে।

৪) একই তথ্য দিয়ে একের অধিক এ্যাকাউন্ট খুললেও বিপদের আশংকা রয়েছে।


ফাইবারে কাজ করার নিয়ম,ফাইবার গিগ মার্কেটিং,ফাইবার মার্কেটপ্লেস,ফাইবার গিগ কি,ফাইবার অপটিক্স কি,ফাইবার তারের দাম,ফাইবার টিপস,ফাইবার এ কাজ করার নিয়ম,ফাইবার এ কাজ,ফাইবার bd,ফাইবার কি,ফাইবার কি ভিডিও,ফাইবারে কি কাজ পাওয়া যায়,ফাইবার গ্লাস কি,fiverr gig,fiverr logo png,fiverr forum,fiverr gig marketing,fiverr description,fiverr gig image size,fiverr affiliate,fiverr account,bdnextweb.com,

One thought on “Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায় – ফাইবার টিপস পর্ব ০১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *