বাংলাদেশে ফার্মেসি বিষয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বর্তমানে যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি প্রোগ্রাম পড়ানো হয় তাদের মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম। মানসম্মত ওষুধ সরবরাহ থেকে শুরু করে ওষুধ নিয়ে গবেষণা—একজন ফার্মাসিস্ট বহুমুখী কাজের দায়িত্বে থাকেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের অনেক তরুণদের ফার্মেসি বিষয় নিয়ে পড়ার আগ্রহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তাই বর্তমানে কদর বাড়ছে ফার্মেসির গ্র্যাজুয়েটদের। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি প্রোগ্রামে পড়াশোনা ও ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহকারী ফার্মেসী বিভাগে পড়তে হলে সরকারী অনুমোদন দেয়া বাংলাদেশের স্বনাম ধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারেন। ভর্তি সহ খরচের একটি পরিষ্কার ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি তে পড়ার খরচ
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নর্থ সাউথ একটি নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং আছে তাদের মধ্যে নর্থ সাউথ সবার আগে। এখানে যে কোন বিষয় নিয়ে পড়তে হলে খরচ এক্টু বেশি হতে পারে। ফার্মেসি তে পড়তে প্রায় দশ লক্ষ খরচ পড়বে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে চার বছরের বি.ফার্ম প্রোফেসনাল ডিগ্রি শেষ করতে ভর্তি ফি, টিউশন ফি-সহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক মিলে খরচ পড়বে ১২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এখানে প্রতি সেমিস্টারে গড়ে ৯৮ হাজার ৮৪৬ টাকা খরচ পড়বে।
দেশের প্রথম সারির এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এসএসসি ও এইচএসসি এবং ভর্তি পরীক্ষার ফল, সেমিস্টার ভিত্তিক রেজাল্ট, সিবলিংস-সহ (ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পড়লে) বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে টিউশন ফি-তে ছাড় দিয়ে থাকে।
- কম্পিউটার ল্যাব ফি 3,750
- ছাত্র কার্যকলাপ ফি 4,500
- লাইব্রেরি ফি 2,250
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি তে পড়ার যোগ্যতা
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক পর্যায়ে যে কোন বিষয়ে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ঠিক করে দিয়েছে। ফার্মেসি বিষয়ে পড়াশোনা ও পেশার নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেহেতু বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিল সেহেতু সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে ভর্তির জন্য আলাদা যোগ্যতা বাতলে দিয়েছে। তা হলো-
- ফার্মেসিতে ভতিচ্ছু শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের দুই পরীক্ষা মিলে জিপিএ ৬.৫ থাকতে হবে।
- এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে চতুর্থ বিষয় বাদে আলাদা আলাদা ভাবে জিপিএ ৩.০ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে
- এইচএসসি পর্যায়ে রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে নূন্যতম জিপিএ ৩.০ এবং গণিতে নূন্যতম জিপিএ ২.০ থাকতে হবে।
- ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে বর্তমান বছর কিংবা আগের বছর এইচএসসি বা সমপর্যায়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
- এইচএসসি বা সমপর্যায়ে কারো গণিত না থাকলে তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন সেখানে বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের কারিকুলাম অনুযায়ী গণিতে অতিরিক্ত ৩ ক্রেডিট কোর্স করতে হবে।