আপওয়ার্ক বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। ২০১৩ সালে ওডেস্ক ও ইল্যান্স মিলে আপওয়ার্ক হয়েছে। আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে চান, তাহলে আর আপওয়ার্ক এ কাজ করতে পারেন। তবে এখানে আপনার সাফল্য নির্ভর করবে আপনি কি পরিমান কাজ পেয়ে থাকেন অথবা আপনার বায়ার কতজন আছে।
Upwork এ কাজ করার নিয়ম

UpWork হল একটি ওয়েব সাইট যেখানে ভিবিন্ন ক্যাটাগরির কাজ কে সাজিয়ে রেখেছে, আর সেখানে ২ ধরনের ব্যাক্তি রেজিস্ট্রেশন করে থাকে।
১। ক্লায়েন্ট যে কাজ দিবে ২। কনট্রাক্টর যে কাজ করবে
Upwork কাজ করার আগে যে বিষয় গুলো জানা প্রয়োজনঃ
আপনি যদি আপওয়ার্ক বা অন্য যেকোন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আপনাকে যেকোন একটি কাজে যেমন ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, এসইও , অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডেভলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। সাধারণত সবগুলো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসেই এই ক্যাটাগরির কাজগুলো পাওয়া যায়। এসব কাজের মধ্যে নুন্যতম যেকোন একটিতে উপযুক্ত দক্ষতা অর্জন করতে পারলেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
এরপর আপনি আপনার ভ্যালিড ইমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলুন। এরপর অ্যাকাউন্ট খোলার পর যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে প্রোফাইল ওভারভিউ। তবে এর জন্য কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই। যদি ইংরেজিতে ভালো ভাবে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এটি করতে পারবেন। তবে অন্যের কিছু কপি করবেন না।
কিভাবে আপনার একাউন্টটি সাজাবেনঃ
১। আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্টটি এমনভাবে সাজাবেন যেন ক্লায়েন্ট আপনার বা আপনার স্কিল সম্পর্কে খুব সহজেই ধারণা পেতে পারে।
২। এমন একটি সুন্দর ছবি প্রোফাইলে যুক্ত করবেন যাতে আপনাকে হাসিখুশি, স্মার্ট এবং প্রফেশনাল লাগে।
৩। আপনার কোনো ভালো কাজের বিবরণ, আপনার কাজের ধরণ/স্টাইল ইত্যাদি যুক্ত করুন। অর্থাৎ আপনার দক্ষতাগুলো সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখুন।
৪। আপওয়ার্কের কোনো এক্সাম টেস্ট স্কোর যদি টপ ১০% বা ২০% না হয় তাহলে এটি আপনার প্রোফাইল শো করবেন না। প্রয়োজনে আবার টেস্ট দিবেন টপ ১০% বা ২০% না হওয়া পর্যন্ত। প্রথম স্থানে থাকতে পারলে তো সবচেয়ে ভালো হয়।
৫। আপনি জব ক্যাটাগরিগুলো এমনভাবে সিলেক্ট করুন যেন আপওয়ার্ক এবং ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে উত্তর দিতে পারেন। এমন কিছু সিলেক্ট করবেন না যে ক্যাটাগরিতে আপনি কাজ জানেন না।
৬। যদি আপনার কোনো সার্টিফিকেশন থাকে যেটা আপওয়ার্ক সাপোর্ট করে তাহলে সেটা অবশ্যই প্রোফাইলের সাথে যুক্ত করে ফেলুন। এই সার্টিফিকেট আপনার প্রোফাইলের জন্য একটি বড় প্লাস পয়েন্ট। আপনার কোর্স সম্পর্কিত কিছু তথ্য ১-২ লাইনের মধ্যে লিখে দিবেন।
৮। আপনার প্রোফাইলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো লিঙ্ক করে দিন। যেমন- ফেসবুক, লিঙ্কডইন, টুইটার, বিহান্স, গুগল প্লাস ইত্যাদি।
৯। আপনার সম্পর্কে বা আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে এক মিনিটের একটি ভিডিও তৈরি করুন। এটা আপনার প্রোফাইলে নতুন একটি মাত্রা যুক্ত করবে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিওর কোয়ালিটি, কথা বলার ধরণ ও উচ্চারণের দিকে আলাদাভাবে নজর দিতে হবে।
১০।সবশেষে গুরুত্বপূর্ন হলো ইংরেজী তে দক্ষ হওয়া ।ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলার সময় কায়েন্ট যেন আপনার কথা ভালোভাবে বুঝতে পারে।
যাদের প্রোফাইল এপ্রুভ হচ্ছে না তারা উল্লিখিত পয়েন্ট অনুযায়ী প্রোফাইল সাজিয়ে তারপর সাবমিট করুন। ইদানীং আমাদের দেশের কেউ কেউ গুজব ছড়িয়েছেন যে, বাংলাদেশ থেকে আপওর্য়াক বন্ধ। তাই তারা নতুন অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ করছে না। আসলে ব্যাপারটি কিন্তু তা নয়। এজন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক নাম, ইমেইল, অভিজ্ঞতা, পোর্টফলিও আর শিক্ষাগত যোগ্যতা দিতে হবে। প্রোফাইল সম্পুর্ণ (১০০%) করতে হবে। তবেই আপনি জবের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
আপওয়ার্ক বাংলাদেশ,আপওয়ার্ক একাউন্ট এপ্রুভ,আপওয়ার্ক টিপস,আপওয়ার্ক প্রোফাইল,আপওয়ার্ক একাউন্ট,আপওয়ার্ক ,upwork,আপওয়ার্ক টিউটোরিয়াল,আপওয়ার্ক টেস্ট,bdnextweb.com,
Nice